গোপালগঞ্জের ঘটনা নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জাসাসের মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল গোপালগঞ্জে কে এনসিপির নেতাদের ওপর হামলা করল? আওয়ামী লীগের আমলে এক লাখ পুলিশ নিয়োগ হয়েছে। তারা এখনো স্বপদে বহাল আছে। আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো কেন সচিবালয়, বিভিন্ন থানায় ও বিভিন্ন জেলায় আছে? ১১ মাস চলে গেল, একটা নির্বাচন দিতে পারেননি।’
ফারুক বলেন, ‘যখনই নির্বাচনের দিন-তারিখের কথা বলেছে, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হলো। এখন সবাই ভাবছে, গোপালগঞ্জের এই হামলা নির্বাচন পেছানোর নতুন কোনো ষড়যন্ত্র কি না। কারণ অনির্বাচিত সরকার থাকলে দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘গতকাল গোপালগঞ্জে যে আক্রমণ এবং ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সে আক্রমণ দিয়ে কী বুঝাতে চেয়েছে আমরা জানি না। যখনই লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে তখনই একটি পক্ষ দেশের মধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
জামায়াত ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা বুঝেশুনে কথা বলবেন। অতীতে আপনারা বুঝেশুনে কথা বলেননি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যখন বাঙালির ওপর হামলা করে তখন কারা আনন্দ মিছিল করেছে, কারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, তা সবাই জানে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ইতিহাস জাতি জানে, আপনাদের ইতিহাস জাতির কাছে প্রকাশ করতে চাই না। আপনারা জাতির কাছে ক্ষমা চান।’
অনুষ্ঠানে জাসাস আহ্বায়ক হেলাল খান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাসাসের সদস্যসচিব জাকির হোসেন, সংগীতশিল্পী ন্যান্সি, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসানুল্লাহ জনি প্রমুখ।
