ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

জামায়াতের বিশেষ ট্রেন নিয়ে রেলওয়ের ব্যাখ্যা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ১২:৫৪ এএম
ট্রেন ও জামায়াতের লোগো। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৯ জুলাই রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য দলটির আবেদনের ভিত্তিতে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা লক্ষ্য করা গেছে।

এ পরিস্থিতিতে রেলওয়ের অবস্থান স্পষ্ট করতে শুক্রবার (১৮ জুলাই) একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিটি রেলওয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরে প্রকাশিত হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ উপলক্ষে দলটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটি নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এমনভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা পক্ষপাতমূলক এবং পূর্ববর্তী নজির সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচয়।

রেলওয়ে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলের জনসমাবেশ বা বড় কর্মসূচির ক্ষেত্রে অতীতেও বিভিন্ন দলের আবেদনের ভিত্তিতে নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এটি রেলওয়ের নিয়মিত এবং স্বাভাবিক বাণিজ্যিক প্রক্রিয়ার অংশ।

রেলওয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি না দিলে একই দিনে যাত্রীচাপ বেড়ে নিয়মিত ট্রেনে টিকিট পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এতে অনেক যাত্রী, বিশেষ করে সমাবেশগামী দলীয় কর্মীরা, টিকিট না পেয়ে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করেন—যার ফলে রেলওয়ের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি যাত্রীসেবায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বিশেষ ট্রেন পরিচালনার মাধ্যমে নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে যাত্রী পরিবহন করা গেলে একদিকে রাজস্ব আয় নিশ্চিত হয়, অন্যদিকে অন্যান্য ট্রেনের সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিও হ্রাস পায়।

রেলওয়ে জানিয়েছে, চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন অলস পড়ে থাকা ট্রেন রেক ব্যবহৃত হবে। যেহেতু শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি, তাই যাত্রীর স্বাভাবিক চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম থাকে এবং এই বিশেষ ট্রেন পরিচালনায় কোনো নিয়মিত ট্রেনের যাত্রায় বিঘ্ন ঘটবে না। অর্থাৎ, সাধারণ যাত্রীরা এতে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাবের সম্মুখীন হবেন না।

এ ছাড়া, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করে প্রায় ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে, যা রেলওয়ের রাজস্ব বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। রেলওয়ে স্পষ্টভাবে জানায়, এটি একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত, এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব বা দলীয় রাজনীতির সম্পর্ক নেই।

বিবৃতির শেষাংশে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, পূর্বের নিয়ম অনুসারেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও যে কোনো রাজনৈতিক দল একইভাবে আবেদন করলে তা প্রক্রিয়াগতভাবে বিবেচনা করা হবে। বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বা অপপ্রচারের কোনো সুযোগ নেই।