বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব অস্বীকার করে আসছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ড. গোবিন্দ বলেন, ‘১৯৫৪ সালে যেদিন আওয়ামী লীগ গঠিত হয়, সেদিন থেকেই তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব ধ্বংসের পথে হাঁটতে থাকে। আওয়ামী লীগ আমাদের রাজনৈতিকভাবে বন্দি করে রেখেছে। তারা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’
দেশে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন দুশ্চিন্তায় আছি এই দেশের ভবিষ্যৎ কী? আওয়ামী লীগ দেশের শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘জামায়াত শুধু রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি আদর্শিক প্ল্যাটফর্ম, একটি ‘ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি’। এখানে মানুষ আদর্শ, নীতিশিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ অর্জন করে। আমরা এখানে এসে শিক্ষা গ্রহণ করি কীভাবে ধর্ম অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা যায়।’’
ড. গোবিন্দ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি জানান এবং বলেন, ‘আমরা চাই পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) ছাড়া আর কোনো নির্বাচন না হোক। নইলে দেশে আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘একবার ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে, আমরা চাই না আবার তা ফিরে আসুক। যদি ফের পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হয়, তাহলে আমাদেরকে আবার জীবন ও রক্ত দিয়ে সেই ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে হবে।’
সমাবেশে তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে যারা আছেন, তাদের জীবন ধন্য হবে—তা রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকুক বা না থাকুক। আদর্শিক ভিত্তিই হবে আগামীর পথচলার মূল শক্তি।
আপনার মতামত লিখুন :