ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব খর্ব করা চলবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে সাময়িক ওয়াকআউটের পর ফের আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দেশে যেন আর কখনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগে বিএনপি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। তবে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হলে রাষ্ট্র পরিচালনার ভারসাম্য বিনষ্ট হবে।’

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ২০তম দিনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সালাহউদ্দিন জানান, ‘আমাদের পক্ষ থেকেই প্রস্তাব ছিল, কেউ যেন ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন সেটি গৃহীত হয়েছে। আমরা আরও প্রস্তাব দিয়েছি, একটি স্বাধীন সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হোক, যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল এবং বিচার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবেন এটিও ইতিবাচকভাবে গৃহীত হয়েছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরাই বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে পরবর্তী সংসদ যদি সংশোধনী আনে, তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আগে গণভোটে যেতে হবে। এটি গৃহীত হওয়া ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা যেমন সংসদের কাছে, তেমনি জনগণের কাছেও রয়েছে। কিন্তু যদি কর্তৃত্ব না থাকে, আর কেবল দায়-দায়িত্ব থাকে, তাহলে রাষ্ট্র পরিচালনা কার্যকর হবে না।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়োগে নির্বাহী বিভাগের হাত-পা বেঁধে দেওয়া হলে, ভবিষ্যতে তা এক ধরনের প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি করতে পারে।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘সব বিষয়ে ঐক্যমত হওয়া সম্ভব নয়। ভিন্নমত থাকবে, সেটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে কাউকে ঐকমত্যে বাধ্য করা গণতন্ত্র নয়। আমরা অংশ নিচ্ছি একটি গঠনমূলক চেতনায় তবে যেখানে মৌলিক মতভেদ রয়েছে, সেখানে মতপার্থক্য জানানোই যৌক্তিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি অংশ না নিলে কীভাবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে? এই প্রশ্ন থেকেই যায়।’

বক্তব্যের শেষে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, সংলাপের পরবর্তী পর্বেও বিএনপি অংশ নেবে এবং গণতান্ত্রিক ও ইতিবাচক আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।