আজ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। দুঃখকে চিরসাথী করে পথচলা নজরুল বা দুখু মিয়ার জীবনসংগ্রাম এবং তার সৃষ্টিকর্ম আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। বহুমুখী প্রতিভার আধার কাজী নজরুল ইসলামকে সবাই কবি হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও তার কর্মময় জীবন শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত। প্রায় তিন সহস্রাধিক গান নজরুলগীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও প্রসিদ্ধ।
এই দিনে কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
এক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, কাজী নজরুল ছিলেন বিপ্লব ও বিদ্রোহের কবি। তার সেই বিপ্লবী চিন্তা আজও বাংলাদেশের মানুষকে ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার প্রেরণা জোগায়।
তারা বলেন, ‘বল বীর, বল উন্নত মম শির’ মাত্র ২২ বছর বয়সে রচনা করেন নজরুল। আবার ‘কারার ঐ লৌহকপাট ভেঙে ফেল কররে লোপাট’ কবিতাটি আজও জালিম শাসকের বিরুদ্ধে অনুপ্রেরণার উৎস। ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি ফুল হিন্দু মুসলমান’ বলে ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অমোঘ বাণী উচ্চারণ করেন তিনি। গাহি সাম্যের গান কেবল নজরুলের লেখনীতেই বাঙ্ময় হয়েছে। শিশুদের ছড়া-সাহিত্যকে তিনি ভিন্ন উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছেন। ইসলামী গজল থেকে শুরু করে হিন্দুদের কীর্তনে তিনি অনন্য সৃষ্টিশীলতার পরিচয় রেখেছেন। ‘ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানটি না শুনলে কোনো বাঙালি মুসলমানের হৃদয়ে রোজার ঈদের আনন্দ সম্পূর্ণ হয় না।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাকশক্তিহীন অসুস্থ কবিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন। সে বছরই ২৭ আগস্ট পিজি হাসপাতালে কবির মৃত্যু হয়।
‘মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই, যেন গোরে থেকেও মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।’ কবির শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। যেন আজও কবি গোরে থেকেও মুয়াজ্জিনের আজান শুনছেন।
সাম্য, প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি) গভীর শ্রদ্ধা জানায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘অসত্যের কাছে কভু নত নাহি হবে শির, ভয়ে কাপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর।’ কাজী নজরুল ইসলামের অমর বাণীকে বুকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্ম এবি পার্টির পতাকাতলে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তাঁরা। একই সঙ্গে কবির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন