মার্কিন ডানপন্থী যুবকর্মী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গভীর শোক ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘটনায় শোক ও নিন্দা জানান তিনি।
পোস্টে তারেক রহমান লিখেন, চার্লি কার্কের মৃত্যুতে সারা বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কারণ, একটি গণতান্ত্রিক সমাজে কেবলমাত্র রাজনৈতিক বিশ্বাস ও সক্রিয়তার কারণে কাউকে কখনোই সহিংসতার শিকার হতে হবে না। ধর্ম, মতাদর্শ কিংবা দৃষ্টিভঙ্গি- যাই হোক না কেন, কারও জীবন এভাবে ঘৃণ্যভাবে শেষ হয়ে যাওয়া মেনে নেয়া যায় না।
তিনি লিখেন, আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং নিহতের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও প্রার্থনা জানাচ্ছি।
এক প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে ‘আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর' নামে পরিচিত ১৫-স্টপের ভ্রমণ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ তার মাথায় একটি গুলি এসে আঘাত হানে এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান ৩১ বছর বয়সী কার্ক।
গুলিটি কার্কের প্রায় ২০০ মিটার দূর থেকে ছোড়া হয়েছিল বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছে।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কার্কের জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন এই তরুণ বক্তা। তিনি সরাসরি সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের প্রশ্নের মুখোমুখি হতেন। তার আলোচনায় থাকত মার্কিন রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা, অভিবাসন বিষয়ক ব্যাখা ও বিশ্লেষণ। প্রশ্নোত্তরের এসব ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে তা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সুবক্তা ও বিচক্ষণ যুবক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন কার্ক।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন