বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের ঢাকাস্থ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা মিস হুমা খানও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে জাতিসংঘের সহযোগিতা ও কারিগরি সহায়তা কামনা করা হয়।
জামায়াত নেতারা জানান, একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন। তারা আশা প্রকাশ করেন, সংস্কার প্রক্রিয়া এবং জাতীয় ‘জুলাই সনদ’-এর আইনি ভিত্তির মধ্য দিয়ে এমন একটি ঐকমত্য গড়ে উঠতে পারে।
এ বিষয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা আশাবাদী, এই ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে। আগামীকাল (বুধবার, ৮ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশন থেকে একটি ফলপ্রসূ ঘোষণা আসবে বলেও আমরা আশা করছি।’
বৈঠকে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, পার্বত্য অঞ্চলের সংকট, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা ও মিয়ানমারের চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে রোহিঙ্গা তরুণদের মধ্যে শিক্ষা, চিকিৎসা ও আবাসনের সংকট এবং মাদকাসক্তির আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
জামায়াত নেতারা জানান, রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সরাসরি কাজ করতে না পারলেও ইসলামিক এনজিওগুলোর মাধ্যমে সহায়তার চেষ্টা চলছে। এই সংকট সমাধানে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি বলে তারা মত প্রকাশ করেন।
বৈঠকে দেশের নারী সমাজের অধিকার সুরক্ষা, কর্মক্ষেত্রে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থনের প্রত্যাশা জানানো হয়।
বৈঠকে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী মীর আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন