ঢাকা বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫

বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির ইগো সমস্যাই জাতীয় ঐক্যের অন্তরায়: মঞ্জু

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, দেশের মানুষ এখন শান্তি ও ঐকমত্য চায়, কিন্তু সীমান্তের ওপারের চাওয়া হলো বিভেদ, সংঘাত ও বিভক্তি সৃষ্টি করা। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপির ‘ইগো সমস্যা’ই আজ জাতীয় ঐক্যের সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের শেষ পর্যায়ের বৈঠকে এসব কথা বলেন মঞ্জু।

তিনি বলেন, ‘গণভোট আয়োজনের বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও তা জাতীয় নির্বাচনের আগে হবে, নাকি একই দিনে দুটি নির্বাচন হবে এই প্রশ্নে এখনো দ্বিধা-বিভক্তি রয়েছে। ঐকমত্য কমিশন বা সরকারের উচিত হবে দুই পক্ষের মতামত নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া।’

মঞ্জুর বলেন, ‘সরকার যেসব রাজনৈতিক দলকে নিজের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে এবং সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে সঙ্গে নিয়েছে, সেই বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি এই তিন দলের ‘অতিরিক্ত আত্মঅহংকার’ই (ইগো) এখন ঐক্যের পথে প্রধান বাধা হয়ে আছে।’

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ এবং সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সাংবাদিক মনির হায়দার। এবি পার্টির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মঞ্জু বলেন, ‘জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে—‘সংবিধান আদেশ’, ‘অধ্যাদেশ’ না ‘জুলাই সনদ আদেশ’ এ নিয়েও বিতর্ক চলছে। এসব বিতর্ক দেখে মনে হচ্ছে, কেউ কেউ পরোক্ষভাবে সীমান্তের ওপারের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত ঐকমত্য না হলে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনের উচিত, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো।’

এ সময় এবি পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, ‘জুলাই সনদের সব বিষয়েই যেহেতু পূর্ণ ঐকমত্য হয়নি, তাই গণভোটের মাধ্যমেই তার চূড়ান্ত সমাধান সম্ভব। জনগণ যদি গণভোটে সনদকে সমর্থন করে, তবে যেসব দল আপত্তি জানিয়েছে, তাদের অবস্থান জনরায়ের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যাত হবে।’

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, গণভোটের ইতিবাচক ফলাফলই জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নের পথ উন্মুক্ত করবে।