সরকারি কাজের একটি ঝুড়ি কিনতে কত ধাপ লাগে সেটি তুলে ধরেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ঝুরি কেনার প্রক্রিয়া তুলে ধরেন তিনি।
সরকারি কাজের মন্থর গতি নিয়ে সমালোচনামূলক এই পোস্টের শিরোনাম ছিল, ‘সরকারি কোনো অফিসে ১০০ টাকার একটা ঝুড়ি প্রয়োজন হলে সেটা কিনতে সচিবালয়ের কাজের ধাপসমূহ।’ সেখানে একটি সাধারণ ঝুরি কিনতে ১১টি ধাপ তুলে ধরেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্টে তুলে ধরা ধাপগুলো হলো-
ধাপ–১: যে বিভাগে ঝুড়ির প্রয়োজন, তারা ডিমান্ড তৈরি করবে (যেমন: ১০০ টাকার ঝুড়ির চাহিদা)।
ধাপ–২: ডিমান্ডটি যাবে সংশ্লিষ্ট অনুমোদনকারী বিভাগে, তারা দেখবে সংশ্লিষ্ট খাতে ব্যালেন্স আছে কি না,আগের পার্চেস থেকে ঝুড়িগুলো কোথায় ও কখন ব্যবহার হয়েছে, কবে কবে ইস্যু হয়েছে, মেয়াদ শেষের কারণ কী।
ধাপ–৩: ডিমান্ড নতুন না রিপ্লেসমেন্ট— সেটা যাচাই করা হবে। যদি নতুন হয়, তাহলে কেন নতুন লাগবে তার যৌক্তিকতা দিতে হবে।যদি রিপ্লেস হয়, তাহলে পুরনোটির অবস্থা (হাল হাকিকত) রিপোর্ট করতে হবে।
ধাপ–৪: সব যাচাই শেষে ডিমান্ড পাস হবে।
ধাপ–৫: পাসকৃত ডিমান্ড প্রকিউরমেন্ট বিভাগে জমা হবে।
ধাপ–৬: প্রকিউরমেন্ট বিভাগ সেটার মূল্য বাবদ রিকুইজিশন পাঠাবে একাউন্টস বিভাগে।
ধাপ–৭: একাউন্টস বিভাগও ডিমান্ডের হালহকিকত যাচাই করবে। সব ঠিক থাকলে তারা ১০০ টাকা পাস করবে প্রকিউরমেন্ট বিভাগের নামে।
ধাপ–৮: প্রকিউরমেন্ট বিভাগ সেই টাকা নিয়ে বাইরের স্টোর থেকে ঝুড়ি ক্রয় করবে।
ধাপ–৯: কেনা ঝুড়ি ইনহাউজ স্টোরে জমা হবে।
ধাপ–১০: যে বিভাগে ঝুড়ি দরকার, তারা স্টোরে রিকুইজিশন দেবে ঝুড়ি তোলার জন্য।
ধাপ–১১: স্টোর তখন পুরনো ঝুড়ি ফেরত নিয়ে নতুন ঝুড়ি ইস্যু করবে।’


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন