পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী শামীম সাঈদী বলেছেন, “আমরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমান সবাই একসঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে চাই। সংখ্যালঘুদের মধ্যে কোনো ভীতি বা বিভাজন সৃষ্টি হোক, তা আমরা চাই না। আমরা সবাই বাংলাদেশি। যেমন মসজিদ পাহারা দিতে হয় না, তেমন মন্দিরও পাহারা দিয়ে রাখার প্রয়োজন নেই।”
জামায়াতকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি একটি অযথা অপপ্রচার। জামায়াতের সঙ্গে পাকিস্তানের কোন ব্যবসা বা রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। যারা মুসলিম লীগে ছিল, তারাই রাজাকার ছিল। মুসলিম লীগ এখন বাংলাদেশে নেই, তাই তাদের দায় জামায়াতের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। ইসলামের কথা বললেই কেউ রাজাকার হয়ে যায় না। বরং যারা স্বাধীনতার সময় ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, তারাই প্রকৃত রাজাকার।”
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে জেলার নেছারাবাদ উপজেলার জগন্নাথকাঠি বন্দরে জামায়াতে ইসলামী কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছরে জামায়াতে ইসলামী বা এর কোনো কর্মী কখনও অমুসলিম, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালায়নি কিংবা কারও বাড়িঘর ও জমি দখল করেনি। আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এমপি থাকাকালীন তার নির্বাচনী এলাকায় হিন্দুরা ডিমের ভেতরের কুসুমের মতো নিরাপদ ছিল, এখনও তেমনই নিরাপদ।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও নেছারাবাদ উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রশিদ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মো. মহিউদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও মিডিয়া বিভাগের সভাপতি মো. গোলাম আযম আছলাম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, মো. মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে বক্তব্য দেন দিলিপ সিকদার বুলু, নারায়ণ চন্দ্র ডাকুয়া, তাপস মজুমদার, সমীর বাবু, মানিক সরকার, কার্তিক সাহা, অসীম কর্মকার, জহর লাল সাহা ও অসীম কুমার সাহা প্রমূখ।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন