বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বর্তমানে চীন সফরে রয়েছে। সফরে এক চীন নীতির প্রতি বিএনপির সুস্পষ্ট সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মিনিস্টার লিউ জিয়ানচাও সফরকালে বিএনপির সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয় উভয় পক্ষের মধ্যে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (২৫ জুন) পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সফরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে ‘যুগান্তকারী ও অবিশ্বাস্য’ হিসেবে বর্ণনা করে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের অবকাঠামো ও কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে চীনের অধিকতর অংশগ্রহণের প্রত্যাশা জানিয়েছে দলটি।
সফররত প্রতিনিধি দলের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার মিজ সুন হাইয়ান। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সফরে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।
সফর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির সঙ্গে চীনের বন্ধুত্ব সবসময়ই ছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা করেন। এই সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে আমরা চীনে এসেছি এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছি।
এ সফরকে বিএনপির কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করা হচ্ছে।