ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে আহত ১০

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
ঝুট ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে ঢাকা-ময়মনসিংহ রণক্ষেত্র। ছবি- সংগৃহীত

ঝুট ব্যবসা নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

শনিবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত চলে টানা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ ও একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জনসহ পথচারীরা আহত হন এবং মহাসড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরা স্যাটার্ন গার্মেন্টস লিমিটেডের ঝুট মালামাল নামানোকে কেন্দ্র করে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লা এবং টঙ্গীর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবির গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সেই বিরোধের জেরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে হোপলুন ফ্যাক্টরির সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আতঙ্কে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটোছুটি করতে থাকেন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বেলা ২টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে, ২৩ মে একই গার্মেন্টসের ঝুট নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সে সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন আহত হন। ঘটনাটি নিয়ে মামলা হলে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

বিএনপি নেতা কাজী হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্র রয়েছে। কিন্তু হালিম মোল্লা ব্যবসা দখলের চেষ্টা করছে। তার নেতৃত্বেই এই হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে।’

অন্যদিকে, হালিম মোল্লার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ব্যক্তিগত সহকারী জানান, ‘হালিম মোল্লা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে।’

টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জেরে কাজী হুমায়ুন ও হালিম মোল্লার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’