ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫

স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্তের অংশ: শাহাদাত সেলিম 

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই কিছু দল স্থানীয় নির্বাচন সামনে আনার পাঁয়তারা করছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে এক সুস্পষ্ট চক্রান্ত।

শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর সদস্য ও বিশিষ্ট রাজনীতিক মোহাম্মদ শাহজাহান আলী সুয়েজসহ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীর এলডিপিতে যোগদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শাহাদাত সেলিম বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬-১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের পর দেশের মানুষ ইতিহাসের সবচেয়ে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন দেখার অপেক্ষায় রয়েছে। একটি প্রজন্ম তো কখনো ভোটই দিতে পারেনি। এখন যখন জনগণ একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে প্রস্তুত, তখন জাতীয় নির্বাচনের বদলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সামনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি জাতীয় নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার ইস্যু এখন এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এসেছে। রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে নিয়ে সব দলকে সংস্কারের পথে অগ্রসর হতে হবে। অন্যথায় ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীরা আবারও সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। ইতোমধ্যে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, তার ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ ও ‘জুলাই ঘোষণা’ অবিলম্বে দেওয়া প্রয়োজন।’

কিছু রাজনৈতিক দল ‘কিম্ভূতকিমাকার’ নির্বাচন পদ্ধতির কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এমন অভিযোগ করে এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য প্রাণ দিয়েছে। শত শত তরুণ রক্ত ঝরিয়েছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আশায়। কোনো অস্বাভাবিক পদ্ধতিকে গ্রহণ করবে না। যারা এসব প্রস্তাব তুলছে, তাদের উদ্দেশ্য আদৌ নির্বাচন কি না সে প্রশ্ন আজ জনগণের মনে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো কোনো অবস্থাতেই এই চক্রান্তে পা দেবে না।

অনুষ্ঠানে এলডিপিতে যোগ দিয়ে মোহাম্মদ শাহজাহান আলী সুয়েজ বলেন, ‘আমি আমৃত্যু গণতন্ত্র, দেশের কল্যাণ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পক্ষে কাজ করতে চাই। গণতান্ত্রিক উত্তরণে আরও সক্রিয় হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটো, অতিরিক্ত মহাসচিব এম এ বাশারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।