ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

মাল্টিপল ভিসার আবেদন খালেদা জিয়ার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ০১:১৬ এএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছবি- সংগৃহীত

ফলোআপ চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তার পরিবার, রাজনৈতিক দল ও চিকিৎসকরা। তবে তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় যেকোনো সময়ই লন্ডনে যেতে হতে পারে এমন আভাস মিলেছে।

এদিকে জানা গেছে, বেগম জিয়ার পূর্বের লন্ডন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তার জন্য নতুন করে মাল্টিপল ভিসার আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি দলের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, যেখানে দ্রুত ভিসা জারি এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার বলেন, ম্যাডামের লন্ডনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই মাল্টিপল ভিসার জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তবে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম জিয়ার চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসার বিষয়ে এখনো কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ভবিষ্যতে এ রকম প্রয়োজন হতে পারে।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই বহু শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। ২০২১ সালে তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন, যার পর থেকেই চিকিৎসকরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করে আসছেন।

তৎকালীন সরকার খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি দিলেও চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেয়, যাতে বলা হয়-তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার পথ উন্মুক্ত হয়। পরদিন রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পেয়ে তিনি ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যান।

লন্ডনে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’-এ ১৭ দিন চিকিৎসা শেষে তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন এবং প্রায় চার মাস ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ৬ মে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

গত ২৩ জুলাই রাতের দিকে শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই সময় মেডিকেল বোর্ডের কিছু চিকিৎসক ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আবারও লন্ডনে পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেন। এরপরই তার নতুন ভিসার আবেদনটি করা হয়।