১৮ দিন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন নুরুল হক নুর। তার অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার দিন মেডিকেল বোর্ড গঠন করে নুরুল হক নুরের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়। ওই রাতে চিকিৎসা কার্যক্রমের মধ্যেই জরুরি বিভাগে (ওসেকে) রাখা হয় তাকে। পরে নুরুল হক নুরকে ঢামেকের পুরাতন ভবনের চারতলার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এ বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের চিকিৎসার কার্যক্রম চলছিল। পরে আজ (সোমবার) ভিআইপি কেবিন থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
হাসপাতাল ছাড়ার সময় শারীরিক অবস্থার বিষয়ে নুর বলেন, ‘এখনও পুরোপুরি সুস্থ নই। আপাতত বাসায় যাচ্ছি, এরপর প্রয়োজনে অন্য কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নেব।’
গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরে দুইপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগ করে। এসময় নুরুল হক নুর এবং দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত হওয়ায় নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।