স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে হটাতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দেশের মানুষ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সুসংগঠিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মাগুরা-২ আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের বিপ্লবী সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন।
রবিউল ইসলাম নয়ন বর্তমানে দেশের যুবসমাজের অন্যতম আইকন হিসেবে পরিচিত। রাজপথে সক্রিয় থাকা এই নেতাকে সবাই ‘বিপ্লবী নয়ন’ নামে চেনেন। জুলাইয়ের গণআন্দোলনে নিজের জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ওই সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টার্গেটে ছিলেন নয়ন। একাধিকবার জীবন-মরণের মুখে দাঁড়িয়েও তিনি রাজপথ ছাড়েননি।
রবিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক আলোচনায় যুবদল নেতা নয়ন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তারেক রহমান হাসিনা হটাও আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সেই আন্দোলনেরই ফলাফল ছিল জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান। দেশের মানুষ আজ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের শাসন থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে তারেক রহমান সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। যদি কেউ এই জুলাইকে ৭১-এর মতো নিজেদের সম্পদ মনে করে চাঁদাবাজি, লুটপাট করতে চায়, তাহলে আমরা সেটা প্রতিহত করব।’
নিজের রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি বিএনপি করি-এটা আলাদা করে বলার কিছু নেই। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেভাবে নির্দেশনা দেন, তা যথাযথভাবে পালন করছি। ঢাকায় কেউ অসুস্থ হলে যেন ভাবে, নয়ন আছে। কেউ কষ্টে থাকলে যেন নয়নের কথা মনে পড়ে-সেই ভাবনা থেকেই আমি কাজ করে যাচ্ছি।’
রবিউল ইসলামের গ্রামের বাড়ি মাগুরায়। তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করতে চাই, কারণ এটা আমার এলাকার মানুষের স্বপ্ন। সুখ-দুঃখে সব সময় তাদের পাশে ছিলাম। তারা আমাকে হৃদয় থেকে ভালোবাসে, সব সংকটে মনে করে।’
তথ্য মতে, মাগুরা-২ আসন গঠিত হয়েছে মাগুরা সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন, মোহম্মদপুর, শালিখা ও মাগুরা পৌর এলাকা নিয়ে। রবিউল ইসলাম জানান, শুধু মোহম্মদপুরেই ৭২টি ওয়ার্ড রয়েছে, যেখানকার অধিকাংশ ওয়ার্ডে বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা তাকে সমর্থন করছেন।
এলাকাবাসীর ভালোবাসার কথা জানিয়ে নয়ন বলেন, ‘আমার মাগুরাবাসী ও মাগুরা-২ আসনের প্রতিটি পরিবারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে যেমন ভালোবাসেন, তেমনি রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতাও করছেন। আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে মানুষের ভালোবাসা। দল যদি মনোনয়ন দেওয়ার আগে মাঠপর্যায়ের খবর নেয়, তাহলে ইনশাল্লাহ আমি আলোচনায় এগিয়ে থাকব।’
আপনার মতামত লিখুন :