ঢাকা বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

দেশের ওষুধ শিল্পে সংকট-ঝুঁকি নিয়ে মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি- সংগৃহীত

দেশের ওষুধ শিল্পে সংকট ও ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প দেশের অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। দেশীয় চাহিদার প্রায় শতভাগ পূরণ এবং ধারাবাহিকভাবে রপ্তানি সম্ভাবনা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ খাত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে তৈরি মানসম্মত ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয়। এ খাত এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট) উৎপাদনেও বিশেষ সক্ষমতা অর্জন করেছে।

ফখরুলের বক্তব্যে বলা হয়, “সাম্প্রতিক সময়ে সম্ভাবনাময় এই শিল্পখাতে সরকার কর্তৃক গৃহীত কিছু একপেশে নীতিকৌশল এবং কিছু বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তা বিশেষ ঝুঁকি তৈরি করেছে। বিশেষ করে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি), অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণের টাস্কফোর্স কমিটি এবং ডিসিসির টেকনিক্যাল সাব কমিটিতে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কোনো প্রতিনিধি না রাখা উদ্বেগজনক। বিএনপি বিশ্বাস করে, শিল্পের নীতি প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণে স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পেশাজীবীদের মতামত প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যৌথভাবে সমাধান খুঁজে বের করাই দেশের স্বার্থে শ্রেষ্ঠ পদক্ষেপ। নতুন ওষুধের নিবন্ধন এবং মূল্য সমন্বয় কার্যকর না হওয়ায় শিল্প ঝুঁকির মুখে। বিশেষত ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে, তাই নতুন ওষুধের নিবন্ধন দ্রুত করা অত্যন্ত জরুরি।”

ফখরুল বলেন, “ওষুধ শিল্প এখন কেবল উৎপাদন খাত নয়, বরং এটি একটি কৌশলগত জাতীয় সম্পদ। এই খাতের সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি। সরকার, বেসরকারি খাত, উদ্যোক্তা এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বিত সহযোগিতায় বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পকে টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।”

বিএনপি আশা করে, কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের ওষুধ শিল্পের স্থিতিশীলতা ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সরকার শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণে এগিয়ে আসবে।