বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭০জন এতিমের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম তারিক।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় অবস্থানরত এতিমদের জন্য এই খাবারের আয়োজন করেন তিনি।
এ সময় ছাত্রদল নেতা তারিক নিজেও তার সতীর্থ-সহকর্মীদের নিয়ে এতিমদের সঙ্গে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন।
এ সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এতিমদের উদ্দেশ্যে ছাত্রদল নেতা তারিক বলেন, ৪৭ বছরের পথচলা বিএনপি’র জন্য পুষ্পশোভিত ছিল না। প্রথম দফায় স্বৈরাচার এরশাদের শাসনামলে ৯ বছরের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন, পরবর্তীতে ২ বছরের ১/১১-এ তত্ত্বাবধাক সরকার এবং সর্বশেষ গত দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন, হামলা, মামলা, গুম-খুনের স্টিমরোলার চলেছে বিএনপির ওপর। এরপরও বীরদর্পে রাজপথে টিকে আছে জনগণের সবচেয়ে প্রিয় দলটি। বিগত ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনে যে কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল সেটি সমূলে উপড়ে ফেলে একটি পরমতসহিষ্ণু, শান্তিময় এবং মানবিক সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই জাতীয়তাবাদী শক্তির মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিশুদের অনেক ভালোবাসতেন। তাই তার হাতেগড়া দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এতিমদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে তাদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছি।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, আবুল কাসেম প্রধান, রাকিব হোসেন, জুল হোসেন, সদস্য সাব্বির হোসেন, সূর্যসেন হল ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিনহাজ উদ্দিন ও তরিকুল ইসলাম তারেক, শেখ মুজিবুর রহমান হলের সদস্য তাহমিদ হুমায়ুন তানিম, সিয়াম রহমান, কবি জসিম উদ্দিন হলের সদস্য মাহফুজ ইকবাল, বিজয় একাত্তর হলের সদস্য আয়াজুর রহমান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সদস্য সাখাওয়াত আনসারী সৈকত, ঢাবি ছাত্রদল কর্মী শাহ আলম, তানভীর হোসেন, রিয়া বিশ্বাস, রাকিব হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদিক হাবিব মেহেদি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য নূর হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের ফজলে রাব্বি রাদ, মুজতবা তাহমিদ মুবিন, মো. নাজমুল হক, মো. তানভিরুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণের মো. জুবায়ের হোসেন ও মো. ফাহাদ হোসেন, মহানগর পূর্বের মো. জাহিদ হাসান, মো. সোয়াইবুল ইসলাম রেম্পি, মুন্তাসির হাসনাত, মহানগর পশ্চিমের মো. মাহমুদুল হাসান এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরাফাত হোসেনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।