ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা, মতবিরোধ ও বিতর্ক যখন তুঙ্গে ঠিক সেই সময়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাত দফা দাবিতে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ধারণা করা হচ্ছে, সমাবেশ থেকে দলটি নির্বাচন ও জাতীয় রাজনীতি নিয়ে দিতে পারে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বার্তা। এদিকে ফজরের আগেই পূর্ণ হয়ে গেছে দলটির মহাসমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। গতরাত থেকেই উদ্যানে অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৯ জুলাই) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় মহাসমাবেশ। দুপুর ২টায় মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও ১০টা থেকে মঞ্চ দখলে থাকবে দেশের খ্যাতনামা ইসলামি সংগীতশিল্পীদের। তবে ফজরেই পূর্ণ হয়ে গেছে সভাস্থল।
কুমিল্লা থেকে আগত আহমদ ইবনে আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা গতরাতেই রওয়ানা করে এসেছি। ফজরের আগেই পৌঁছে গেছি। আলহামদুলিল্লাহ। নির্দেশনা মোতাবেক মহাসমাবেশ শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকব। ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা শুকনো খাবার ও পানি নিয়ে এসেছি। প্রত্যেকের ব্যাগে জায়নামাজ আছে। সবাই মিলে একসঙ্গে গাড়িতে এলেও নিজেরাই খরচ বহন করেছি, সংগঠন থেকে দিতে হয়নি। বরং আমাদের অনেকে স্বেচ্ছায় ১০ থেকে ২০ জনের খরচ বহন করেছেন।
উত্তরের জেলা পঞ্চগড় থেকে এসেছেন আবু সালেহ মো. মুসা। তিনি বলেন, আমরা গতকাল বিকেলেই রওয়ানা করেছি। ফজরে এসে পৌঁছেছি। আমাদের নির্দেশনা ছিল ফজরের নামাজ পরেই যেন মাঠে থাকতে পারি। সেভাবে গাড়ি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে সবাই চলে এসেছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমার জেলা ঝালকাঠি থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী এসেছেন লঞ্চে। নির্দেশনা অনুযায়ী বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এসেছেন। লঞ্চে কোনো হই-হুল্লোড় ছিল না। খাবার প্যাকেট নিয়ে ছিল না কোনো হট্টগোল। সিগারেটের কোনো ধোঁয়া ছিল না। পাওয়া যায়নি গাজা কিংবা অন্য কোনো নেশাদ্রব্যের ঘ্রাণ। দলবেঁধে জুয়া কিংবা তাস খেলার আসরও ছিল না।
তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে জানলাম প্রত্যেকে নিজ খরচে তাদের দলের সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় রওনা হয়েছেন অর্থাৎ লঞ্চে একত্রে গেলেও প্রত্যেকে লঞ্চভাড়া নিজেরা বহন করছেন। তবে ঘুমানোর জায়গার কমতি ছিল। নিজে জেগে থেকে, বসে থেকে অন্য ভাইকে ঘুমানোর সুযোগ দিয়েছে। ইসলামি দলগুলোর সৌন্দর্য্য এখানেই। অন্য সব প্রোগ্রামেও দেখেছি এমন শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড। সবার মধ্যে এমন শৃঙ্খলা ফিরুক এবং সবাই নিজ দেশের নাগরিকদের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করুক এমনটাই চাওয়া।
জামায়াতের জাতীয় মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। মহাসমাবেশে তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, সংস্কার ও বিচারসহ বেশকিছু দাবি উপস্থাপন করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :