ভারতীয় সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াত আমির বলেন, ‘বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে মিল্লাত হোসেন (২০) ও লিটন (৩২) নামের দুই বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় আফসার (৩০) নামের আরও একজন যুবক গুরুতর আহত হন। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি অভিযোগ করেন, ভারত বারবার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে বিএসএফ বাংলাদেশিদের ওপর গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি, বিএসএফ প্রায়ই বিনা উসকানিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিএসএফ-এর হাতে ৫৮৮ জন বাংলাদেশি নিহত এবং ৭৭৩ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু এতগুলো হত্যাকাণ্ডের একটি ক্ষেত্রেও এখন পর্যন্ত কোনো সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হয়নি।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ড বন্ধে আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রনীতি পুরোপুরি ব্যর্থ। সরকারের দুর্বল ও নতজানু অবস্থানের কারণেই ভারত একের পর এক সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশের জনগণ সব সময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমরা আশা করি ভারত সরকার সীমান্তে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং মিল্লাত হোসেন ও লিটনের হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে।’
বিবৃতিতে জামায়াত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সব হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক তদন্ত এবং জাতিসংঘের অধীনে বিচার দাবি করেছে। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশের সরকারের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে দলটি।