ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

সাঈদীকে নিয়ে জামায়াত আমিরের বিবৃতি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দেয়া বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসা অবহেলার কারণে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ইন্তেকাল করেন। অসুস্থ অবস্থায় কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করেননি। এমন পরিস্থিতিতে তার সন্তান ও স্ত্রীকে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ঢাকায় জানাজা আদায়ের সুযোগ না পাওয়ায় লক্ষ লক্ষ তৌহিদী জনতা এগিয়ে আসলেও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ব্যবহার করে। অবশেষে তার লাশ পিরোজপুরের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়। লক্ষ লক্ষ জনতা তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন।


তিনি বলেন, আল্লামা সাঈদী এখন আমাদের মাঝে নেই। তিনি তার জীবন ও কর্ম আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে গিয়েছেন। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তিনি দেশে-বিদেশ কুরআনের তাফসির করেছেন। তার অসংখ্য বক্তব্য ও ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে এবং মানুষ তার রেখে যাওয়া বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়ে ইসলামী আদর্শে উজ্জীবিত হচ্ছেন। জাতীয় সংসদের সদস্য ও বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন। তার রচিত ইসলামী সাহিত্য, তাফসির ও সিরাত গ্রন্থ যুগ যুগ ধরে মানুষকে আলোর পথ দেখাবে। তার প্রতিষ্ঠিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলামের দাঈ ও মুফাসসির তৈরি হয়ে তার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ আঞ্জাম দিবে, ইনশআল্লাহ। আমি তার অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছি তার ইলম, দাওয়াত ও ত্যাগময় জীবনকে। তিনি ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের এক নির্ভীক কণ্ঠস্বর, যিনি সারাজীবন আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রত্যাবর্তন করেছেন, তবুও তার কর্মপন্থা আমাদের মাঝে বেঁচে আছে। এই কর্মপন্থার পথ ধরে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে মানবিক মর্যাদা সম্পন্ন একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে আমরা সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউসে উচ্চ মর্যাদা দান করুন, তার দাওয়াতি কর্মপন্থা আমাদের জীবনে বাস্তবায়নের তাওফিক দিন এবং তার রেখে যাওয়া সংগ্রামের ধারা অব্যাহত রাখার শক্তি দিন।

শফিকুর রহমান বলেন, তার প্রত্যাশা ছিল শাহাদাতের মৃত্যু। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসেবে কবুল করুন। আমি জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী এবং প্রিয় দেশবাসীকে আল্লামা সাঈদীর জীবনের স্বপ্ন একটি কল্যাণমূলক ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।