সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম

‘স্বৈরাচারের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী সুমনা’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম

আওয়ামী লীগের মিছিলে সুমনা ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের মিছিলে সুমনা ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রীসভার অনেক সদস্য এবং আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। এরপর বেশ কিছু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হলেও পলাকত রয়েছেন অনেকে। 

আবার এমন অনেকে আছে যাদের নামে মামলা থাকলেও প্রকাশ্যে ঘুরছেন-ফিরছেন। এমনই একজন হলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সুমনা ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও প্রকাশ্যে ঘুরছেন তিনি।

এবার সুমনা ইসলামকে নিয়ে ‘স্বৈরাচারের সম্পদ পাহারা দিচ্ছে শেখ মিলির ঘনিষ্ঠ সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সুমনা’ শিরোনামে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর। পোস্টে সুমনা ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনেছেন, যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

জাওয়াদ নির্ঝরের দাবি, সুমনা ইসলাম এক সময় রাশিয়া ইউনিট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি ধানমন্ডি মহিলা আওয়ামী লীগের একজন সদস্য হিসেবেও পরিচিত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত একটি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হলেও কোনো আইনি বাধা ছাড়াই প্রকাশ্যে চলাফেরা করছেন।

সাংবাদিক নির্ঝরের বক্তব্য অনুযায়ী, সুমনা ঘনিষ্ঠ শেখ মিলি—যিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মামাতো বোন ও ধানমন্ডি থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি—তার ছত্রচ্ছায়ায় রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব ব্যবহার করছেন।

ফেসবুক পোস্টে আরও দাবি করা হয়, সুমনা ইসলাম বর্তমানে কোনো পেশাগত কর্মে যুক্ত না থাকলেও তার বিলাসবহুল জীবনযাপন স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে। আধা কোটি টাকার গাড়ি ব্যবহার, ধানমন্ডির অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাটে বসবাস ও বিভিন্ন সাবেক প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা—এসবই তাকে একটি ‘অদৃশ্য শক্তির’ ছায়ায় থাকার ইঙ্গিত দেয়।

সাবেক এলজিইডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে সুমনার ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুলে ধরে অভিযোগ করা হয়, তিনি সেই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।

এছাড়াও সুমনার বিরুদ্ধে একাধিক পুরুষকে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে অর্থ ও সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সিলেটের এক সাবেক সংসদ সদস্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিপুল অঙ্কের টাকা ও স্বর্ণালংকার নেওয়ার অভিযোগটি পোস্টে উল্লেখ করা হয়।

সাংবাদিক নির্ঝর আরও দাবি করেন, সুমনা ইসলাম ‘মামলাবাজ’ হিসেবেও পরিচিত। এক সাংবাদিককে ভাড়া চুক্তিতে নিজের ফ্ল্যাটে বসবাসের সুযোগ দিয়ে পরবর্তীতে হয়রানিমূলক মামলা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি মানহানি মামলা ঢাকার সিএমএম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমনা ইসলামের স্থায়ী ঠিকানা পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকান্দি উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামে।


 

Shera Lather
Link copied!