একদল জুলাই সনদকে মুছে দিতে চায়, আরেকদল চায় তা ভেস্তে দিতে। জুলাই সনদ যেন কোনো দলের চাপে পড়ে প্রতারণার বস্তু না হয়, সে বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুধু আনুষ্ঠানিকতা উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘গত ১৭ তারিখের জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমরা অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছি। আমরা মনে করি, জুলাই সনদ স্বাক্ষর শুধু আনুষ্ঠানিকতা। যদি বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়, তাহলে আমরা যতটুকু অর্জন করতে চেয়েছিলাম, সে অর্জন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে। সে কারণে, জুলাই সনদ স্বাক্ষরকেই আমরা মূল বিষয়বস্তু মনে করি না। আমরা এটাকে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখি। বরং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের যে আদেশ, সেই আদেশের বিষয়ে জনগণের কাছে পরিষ্কার বার্তা উপস্থাপন করে জুলাই সনদকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
আখতার হোসেন বলেন, ‘সনদ বাস্তবায়নে আদেশের খসড়া এবং এর পরিধি জনগণকে জানাতে হবে। স্পষ্ট করতে হবে। এসব দেখে স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এনসিপি। সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া বা টেক্সট না দেখা পর্যন্ত এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না।’
শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করতে চান জানিয়ে আখতার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো দলের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে যেকোনো দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জোট হতে পারে।’
এদিন সকাল সোয়া ১০টার পর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জুলাই সনদ ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এনসিপি।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন- সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
অন্যদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজসহ কমিশনের অন্য সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

