ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

ইসি অন্য কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে : নাহিদ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

রাজনৈতিক দলীয় প্রতীক হিসেবে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারিতা। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তাদের ধারণা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো শক্তির প্রভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় রাজশাহী পর্যটন মোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া কীভাবে হবে সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এইটি কেবলই একটি আনুষ্ঠানিকতা, যার মূল্য কেবলই একটি কাগুজে মূল্য। এ জন্যই আমরা স্বাক্ষর করিনি। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানেও এই ধরনের একটি রূপ দেখা গিয়েছিল। ৯০-এর পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশে আমরা হতে দেব না। আজকে ঐক্যমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাবার কথা। জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে আমরা অপেক্ষা করছি।’

তিনি বলেন, জুলাই সনদ আদেশ বাস্তবায়ন হবে গণভোট হলে। গণভোটের মাধ্যমে ড. ইউনূস এই আদেশে স্বাক্ষর করবেন। রাষ্ট্রপতি এই আদেশ সাক্ষর করতে পারবে না। তাহলে বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে আদেশ সাংঘর্ষিক হবে।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটের সঙ্গে যুক্ত হবার সিদ্ধান্ত নেয়নি। সংস্কারের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায়, দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায়, ইতিহাসে যাদের অনেক দায়ভার রয়েছে এই ধরনের শক্তির সঙ্গে জোটে যাবার ক্ষেত্রে তাদের ভাবতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান, গণহত্যা মামলা, বিচার প্রক্রিয়া, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম যাতে পরবর্তী সরকারের সময়ে বহাল থাকে।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ নতুন নয়—শুধু শাপলা প্রতীকের ইস্যুতে নয়, কমিশন গঠনের সময় থেকেই এনসিপি তাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কমিশনকে নিয়ে আমাদের অভিযোগগুলো সামগ্রিক। কমিশন যদি মনে করে আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেবে না, তখন বিষয়গুলো রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।’ বলেন উচ্চ কক্ষে পিআর চায় এনসিপি।

নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিনই নির্বাচনে বিশ্বাস করেনি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিবাদ এখনো নানাভাবে বহাল রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা হচ্ছে। জাতীয় পার্টি ও এই সকল দলগুলোর বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা এই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বলেও মনে করেন তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, দলটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য-সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।