জুলাই শহীদদের স্বপ্নের দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম

জুলাই শহীদদের স্বপ্নের দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চায় জামায়াত: ডা. শফিকুর

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই আগস্টের শহীদদের স্বপ্নের দুর্নীতিমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায় জামায়াত। ২০০৬ সালের মাস্টার মাইন্ডদের তাণ্ডবে এ দেশ পথ হারিয়েছিল। মানুষরুপী বর্বর পশুদের জন্য সেদিনের হত্যাকাণ্ড ছিল স্বাভাবিক। তরুণ ও পথহারা জাতি ২০০৬ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত লড়াই করে জাতিকে মুক্ত করেছে। এতে বহু পবিত্র জীবন গেছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আহত ও নিহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শ্রদ্ধার সাথে লালন করি আপনাদের। শহীদদের জাতীয় বীর মনে করি।

জামায়াতে আমীর বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জাতিকে জানাতে হবে। ২০২৪ এর শহীদ পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতা অনুসারে অন্তত একজনকে চাকরি দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে  যারা লড়াই করেছেন তাদেরকে চাকরিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।  ফ্যাসিবাদ বিরোধীদলগুলোকে এসব পরিবারের পাশ দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমদের সামর্থ অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের দুঃখগুলোকে নিতে পারবো না। তবে আহতদের পাশে তারা যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানান জামায়াত প্রধান। শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত ও আহতদের অনুভূতিগুলো জানিয়ে তিনি বলেন,  গতকাল আমি বগুড়ায় আমি গিয়েছিলাম। সেখানে অন্তত ৫০ জন কালো চশমা পড়া ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছেন  আমরা দুনিয়ার আলো দেখতে পারিনা।

জামায়াত আমির বলেন, পুরো সময় (প্রায় ১৭ বছর) তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছেন।কোনো শাসক নিজেকে দেশের মালিক মনে করলে বা  হলে তারা জালিম হন।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বলেছিল ক্ষমতা ছাড়ার পর ৫ লাখ আওয়ামীলীগ কর্মীকে হত্যা করা হবে। অভ্যুত্থানের পর  ৫০০ কিংবা ৫ জনকে হত্যা করা হয়নি। তারা দুর্নীতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।পৃথিবীতে সব দেশেই বাংলাদেশিরা আছেন। যেখানেই যান আপনাদের ধরে ফেরত পাঠাবে তারা।যেখানেই যাবেন সেখানেই ধরা হবে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তরুণরা বুকের রক্ত দিয়ে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন। মুক্তির আন্দোলনের শুরু হয়েছে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর, যার পরিণতি হয়েছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। কেউ কল্পনা করেনি বাংলাদেশে এমন একটি পরিস্থিতি হবে। আমরা বা কোনো রাষ্ট্রবিজ্ঞানীও বলতে পারেনি।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সভায়র সঞ্চালনা করেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারী ড. রেজাউল করিম।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, মোবারক হোসেন,কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা,দক্ষিণের নায়েবে আ.সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান,নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন,কামাল হোসেন প্রমুখ।

আরবি/এস

Link copied!