দেশের মতো বৈশাখের আমেজে সব শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশি গ্রিসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছেন।
গত রোববার (২৮ এপ্রিল) দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস প্রাঙ্গণে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়।
দূতাবাসের উদ্যোগে এবং দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন গ্রিসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা।
বৈশাখী আলপনা, নববর্ষের সাজসজ্জা এবং বাংলাদেশি রীতিতে সজ্জিত করা হয় পুরো দূতাবাস। নারী-পুরুষ সবাই বৈশাখী পোশাকে সজ্জিত হন।
বৈশাখী মেলায় বাংলাদেশি স্টলে দেশীয় খাবার, খাদি, শাড়ি ও অলঙ্কারসহ বিভিন্ন দেশীয় সামগ্রী ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রদূতসহ বিদেশি অতিথিরা। আলপনা আর দেশের গানে দূতাবাস হয়ে উঠেছিল এক টুকরো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও বিদেশি নাগরিকরা অতিথি ছিলেন। পাঞ্জাবি ও হাতে মেহেদি দিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হন কয়েকজন বিদেশি নাগরিক।
রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন স্টল থেকে এশীয় পণ্য ক্রয় করে বিদেশি অতিথিদের উপহার দিতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের প্রথম সচিব রাবেয়া বেগম আমন্ত্রিত অতিথি এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে দূতাবাস পরিবারের সদস্য, গ্রিসস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য, কূটনীতিক, এথেন্স সিটি কাউন্সিলর, গ্রিক ডিপ্লোম্যাট লাইফ ম্যাগাজিনের সম্পাদক, গ্রিক ছাত্র-ছাত্রী, ওয়েবস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বাংলা নববর্ষের চেতনায় সাম্য, সম্প্রীতি এবং মানবতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ বাঙালির অন্যতম বৃহত্তম অসাম্প্রদায়িক উৎসব, যা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একযোগে কাজ করতে হবে।’
তিনি সদ্যপ্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সর্বশেষ দোয়েল একাডেমি ও বিভিন্ন শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে মেলা শেষ হয়।