ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

চোখের জলে দিদারুলকে বিদায় জানাল নিউইয়র্ক

প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০৬:৫৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত

নিউইয়র্কের বুকে বিদায় জানানো হলো এক বীর সন্তান—বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে। বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত এই বীরকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারে হাজারো মানুষ অংশ নেন তার জানাজায়।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। অনাড়ম্বর নয়, বরং চোখের জলে, গর্বে আর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মোড়ানো এই অন্তিম যাত্রা যেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অনন্য এক অধ্যায়।

৩৬ বছর বয়সী অফিসার দিদারুল ইসলাম গত সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। হামলাকারী ২৭ বছরের শ্যেন ডেভন তামুরা পরে আত্মহত্যা করে।

এই হৃদয়বিদারক ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে নিউইয়র্ক জুড়ে। তার জানাজায় শুধু নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগেরই উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫ হাজার সদস্য।

তাদের কণ্ঠে ছিল একটাই কথা ‘দিদারুল ছিলেন সাহসের প্রতীক, কর্তব্যপরায়ণতার প্রতিমূর্তি।’

জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় নিউ জার্সির লোরেল গ্রোভ কবরস্থানে। রাস্তার দুই ধারে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে শেষ স্যালুট জানান। আকাশপথেও হেলিকপ্টার থেকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের গভর্নর, সিটি মেয়র, পুলিশ কমিশনার, আইনপ্রণেতারা এবং আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থীরা।

তারা একবাক্যে স্বীকার করেন, দিদারুলের আত্মত্যাগ শুধু আমেরিকার নয়, বাংলাদেশেরও গর্ব।

বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দিদারুল ইসলামকে মরণোত্তর ফার্স্ট গ্রেড ডিটেকটিভ হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

এর ফলে তার স্ত্রী, দুই পুত্র এবং গর্ভবতী স্ত্রী (বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা) পাবেন সর্বোচ্চ পেনশন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার সন্তান দিদারুল মাত্র ৪ বছর আগে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। এর আগে কাজ করেছেন স্কুল সেইফটি ও ট্রাফিক বিভাগে।