বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন। সাধারণত আয়ারল্যান্ড সরকার বিশ্বের অন্য দেশের নাগরিকদের কর্মসংস্থানের জন্য দুটি প্রধান ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করে থাকে। একটি ক্রিটিক্যাল স্কিলস এমপ্লয়মেন্ট পারমিট এবং অন্যটি সাধারণ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। বাংলাদেশের অনেক নাগরিক আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সঠিকভাবে ভিসা আবেদন না করার কারণে আবেদনকৃত ভিসা বাতিল হয়ে যায়।
সাধারণত আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফি ৬০-১০০ ইউরো হয়। যা বাংলাদেশি টাকায় ৮,০০০-১২,০০০ টাকা। আবার কম বেশি হতে পারে। আবার আয়ারল্যান্ডের এক একটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম বিভিন্ন খরচের ওপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ৬-৭ লাখ টাকা হয়। উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কাজ থেকে শুরু করে সাধারণ শ্রমিক যেমন- কনস্ট্রাকশন, হসপিটালিটি ইত্যাদি কাজের ভিসা পাওয়া যায়। অতএব আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানুন।
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা পেতে সবার পূর্বে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন কার্যকর হলে পরবর্তীতে ওয়ার্ক বা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। তবে ভিসা তৈরির পূর্বেই বিভিন্ন কোম্পানি ও নিয়োগ কর্তা ভিত্তিক চাকরির অফার লেটার পেতে হয়।
আয়ারল্যান্ডের ভিসা অনুযায়ী সর্ব প্রথম ২ বছরের জন্য ভিসা প্রদান করা হয়। এবং পরবর্তীতে এটির মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এমনকি সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করা যায়। এ ছাড়াও আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের সুযোগ-সুবিধাসহ আকর্ষণীয় বেতন রয়েছে।
বর্তমান ২০২৫ সালে আয়ারল্যান্ড সরকার এখন পর্যন্ত কতজন শ্রমিক নিবে তা প্রকাশ করেনি। তাই আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, ট্রেড অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লক্ষ্য রাখতে পারেন।
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা অনুযায়ী ২০২২ সালে আনুমানিক ৪০,০০০ এবং ২০২৩ সালে ১৮ হাজারের বেশি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করেছেন। আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বিভিন্ন কাজের চাহিদা রয়েছে। তাই বিভিন্ন ওয়েবসাইট অথবা সরকারিভাবে আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রত্যেকেরই আবেদন করা উচিত। তবে আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার জন্য দালালদের এড়িয়ে সরাসরি সরকারি পোর্টাল ব্যবহার করুন।
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত?
বেসরকারি এজেন্সি এবং দালালদের মাধ্যমে যেকোনো দেশের ভিসা তৈরি করতে অতিরিক্ত অনেক টাকায় খরচ হয়ে যায়। তাই আপনিও যদি বেসরকারি এজেন্সি অথবা দালালদের মাধ্যমে ভিসা তৈরি করতে চান। তাহলে আয়ারল্যান্ডের একটি ভিসার দাম হবে সর্বোচ্চ ১০-১৩ লাখ টাকা।
আর সরকারিভাবে যদি আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন। এক্ষেত্রে ভিসা ফি, মেডিকেল রিপোর্ট, বিমান ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ মিলে আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিটের নাম হতে পারে ৬-৭ লাখ টাকা। এ ছাড়াও এই ভিসার দাম বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে।
আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বেতন কত ২০২৫
যদি আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক বেতন সম্পর্কে আলোচনা করা যায়। তাহলে বিভিন্ন তথ্যমতে বছরে আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ বেতন পেয়ে থাকেন ৩৫ লাখ ৪০ লাখ টাকা। এবং ন্যূনতম ২৫-৩০ লাখ টাকা এবং মাসিক বেতন হিসাবে আলোচনা করে জানা যায় আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ন্যূনতম বেতন ৩৫-৪৫ হাজার টাকা। এবং কাজের দক্ষতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ বেতন হয়ে থাকে ৮০-১ লাখ টাকা। এবং কোনো সরকারি জব করলে সেই চাকরির বেতন হতে পারে দেড় লাখ থেকে ২ লাখ টাকা। তাই বেতন সম্পর্কেও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তাই সব থেকে ভালো হয় ভিসা তৈরি করার সময় বেতন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জেনে নেওয়া।
২০২৫ সালের নতুন করে আয়ারল্যান্ড সরকার আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করবে বলে ঘোষণা করেছে। তাই জব অফার করে এমন বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফলো করে রাখুন। বিশেষ করে সরকারি ওয়েবসাইটগুলোতে লক্ষ্য রাখুন। এমনকি ভিসা তৈরির জন্য সব দালালদের থেকে দূরে থাকুন।