বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম

ঘূর্ণিঝড়ের সময় রাসূল (সা.) কোন দোয়া পড়তেন বলেছেন?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম

ঘূর্ণিঝড়ের সময় রাসূল (সা.) কোন দোয়া পড়তেন বলেছেন?

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী ঝড়-বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ কখনও বলে কয়ে আসে না। যখন আসে প্রাকৃতিক নিয়মেই আসে। আর এমন দুর্যোগ একবার আসলে সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যায়।

মহান রাব্বুল আল আমিন-ই সব কিছুর মালিক। তার নির্দেশেই এসব কিছুই হয়ে থাকে। আর প্রকৃতি আল্লাহর দান। মনুষ্য বসবাসের উপযোগী করেই প্রকৃতিকে সাজানো হয়েছে। প্রকৃতি মহান আল্লাহ কর্তৃক সৃষ্ট, তিনি কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত।

মাঝেমধ্যে প্রকৃতি বিরূপ রূপ ধারণ করে। রূঢ় ও রুষ্ট হয়, যাকে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে থাকি। যেমন ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস, ভারি বর্ষণ, বন্যা, খরা, দাবানল, শৈত্যপ্রবাহ; দুর্ভিক্ষ, মহামারি, ভূমিকম্প, সুনামি প্রভৃতি।

ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহতায়ালা মানুষকে সতর্ক করতে পবিত্র কুরআনুল কারিমের একাধিক আয়াত নাজিল করেন।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টিতে, তার নির্দেশে বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৬৪)

তবে মানুষের গুনাহ ও কৃতকর্মের কারণেই এ ধরনের বিপর্যয় ঘটে থাকে। সমাজে অন্যায়-অনাচার বেড়ে গেলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বেশি আশঙ্কা থাকে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, জল–স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল। ( সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ৪১)।  

বিভিন্ন হাদিসে রাসূল (সা.) প্রাকৃতিক দুর্যোগের অনেক কারণ উল্লেখ করেছেন।  রাসূল (সা.) নিজেও উম্মতের ওপর এসব দুর্যোগের ব্যাপারে শঙ্কিত ছিলেন। এই উম্মতকে যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিয়ে একসঙ্গে ধ্বংস করা না হয় এ জন্য রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন।  

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সাহাবিদের জীবনে আমরা দেখি, বিপদে-মুসিবতে তারা নামাজে দাঁড়াতেন ও ধৈর্য ধারণ করতেন। (মিশকাতুল মাসাবিহ)

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে যেতেন এবং নামাজে মশগুল হতেন। (মিশকাত)

ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতকে বিচলিত না হয়ে দোয়ার শিক্ষা দিয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় ও বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকতে পবিত্র কুরআনের বিশেষ দোয়া-

‘রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।’

অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।’ (সুরা দুখান : আয়াত ১২)

প্রবল ঘূর্ণিঝড়-বৃষ্টিতে যদি মানুষের জন জীবনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে কিংবা ফসলাদি নষ্ট হয় বা চলাচলের রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়, তবে সে অবস্থায় প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়া পড়তেন-

‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের থেকে (ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি) ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিয়ো না।’ (বুখারি)

জোরে বাতাশ প্রবাহিত হলে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  যে দোয়া পড়তেন-

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা’

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণটাই কামনা করি। এবং আপনার নিকট এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)।

ঝড় বা বাতাশ থেকে বাঁচতে মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  যে দোয়া পড়তেন-

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।’

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি এর কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে (বুখারি)।

আসুন, আমরা আমাদের পাপ সমূহের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাই আর অধিকহারে দোয়ায় রত হই। আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে ঘূর্ণিঝড় সহ প্রাকৃতিক সব বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুন, আমিন।

আরবি/এফআই

Link copied!