লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এর ফজিলত ও সওয়াব অনেক বেশি। আমলটি করার ব্যাপারে হাদিসে অনেক বর্ণনা এসেছে। যখন মানুষ নিজের সক্ষমতার বাইরে কোনো পরিস্থিতি ও কাজের মুখোমুখি হয়, যা সম্পাদন করা তার ওপর কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তখন এই দোয়াটি পড়তে হয়। এ ছাড়া শয়তানের কোনো প্রতারণা ও আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্যও পড়া হয়।
আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) একবার আমাকে বললেন, ‘তোমাকে জান্নাতের অন্যতম ধন ভাণ্ডারের কথা কি বলে দেব?’ আমি বললাম, অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ (লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) (বুখারি, হাদিস : ২৯৯২; মুসলিম, হাদিস : ২৭০৪, তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৪; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৬
আবু জর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) আমাকে একবার বললেন-
‘আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনগুলোর একটির সন্ধান দেবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, আল্লাহর রাসুল। তিনি বলেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। (আহমাদ, হাদিস : ২০৮২৯)
হাজিম ইবনে হারমালা (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে বলেন, ‘হে হাজিম! তুমি অধিক সংখ্যায় ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’ বাক্যটি পড়ো। কেননা তা হলো জান্নাতের গুপ্তধন। (বুখারি, হাদিস ৪২০৪, ৬৩৮৪, ৬৪০৯, ৭৩৮৬, মুসলিম ৫৮৯,
আবু যুবায়ের (রহ.) হতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন জুবায়ের (রাঃ) নামায শেষে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ...) পাঠ করতেন। পাশাপাশি ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, লা না’বুদু ইল্লা ইয়্যাহু লাহুন-নি’মাহ ... অতিরিক্ত বর্ণনা করে পরে উপরোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫০৭)
সাগরের ফেনা পরিমাণ গুনাহ মাফ হয়
আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর বুকে যে ব্যক্তি বলে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ তার অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির মতো (বেশি পরিমাণ) হয়। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৬০)
অর্থ : আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহ সুমহান, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপমুক্তির কোনো পথ নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া ইবাদতের কোনো শক্তি নেই।