একজন মুসলিমের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। সঠিক সময়ে নামাজ আদায় না করলে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির ঘোষণা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রথম ওয়াক্ত হচ্ছে ফজর। এই নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
এই নামাজ মুমিন ও মুনাফিকদের মাঝে পার্থক্যকারীও বটে। কেননা এই নামাজ এমন একসময় আদায় করা হয়, যখন মুমিন ছাড়া কারও পক্ষে জাগ্রত হওয়া সহজ নয়।
কখনো যদি ঘুম থেকে জেগে ফজর নামাজ যথা সময়ে পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করে নিতে হবে। যদি ওই সময় নামাজের নিষিদ্ধ সময় না হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূর্য উঠার আগে ফজরের নামাজের এক রাকাত পায়, সে ফজরের নামাজ পেল। আর যে ব্যক্তি সূর্য ডুবার আগে আসরের নামাজের এক রাকাত পেল, সে আসরের নামাজ পেল।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৭৯)
যদি সময় এতটা কম থাকে যে, শুধু দুই রাকাতই পরা যায়, তাহলে ফরজ দুই রাকাত পরে নেবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত আদায় করতে পারেনি, সে সূর্য উঠার পর তা আদায় করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৪২৩)
এ ব্যাপারে ফিকহের কিতাবে রয়েছে, ছুটে যাওয়া ফজরের নামাজ যদি ওই দিন জোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেই তথা দ্বিপ্রহরের আগেই কাজা করা হয়, তাহলে দুই রাকাত দুই রাকাত করে- মোট চার রাকাত পড়তে হবে। আর যদি জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যাওয়ার পর কাজা করা হয়, তাহলে শুধু দুই রাকাত ফরজ পড়তে হবে। সুন্নত পড়ার দরকার নেই।