আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর দেশ ছেড়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার (৭ মে) মধ্যরাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র তার দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, এদিন রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। তিনি চিকিৎসার উদ্দেশে থাইল্যান্ড গেছেন বলে জানা গেছে।
আবদুল হামিদের পারিবারিক সূত্র জানায়, তার সঙ্গে শ্যালক ডা. নওশাদ খান ও ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ আছেন। দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি বিদেশে গেছেন বলে দাবি পরিবারের।
এদিকে, ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই শেষে দেশ ছাড়ার ‘সবুজ সংকেত’ পান আবদুল হামিদ।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তারা বলছে, তার (আবদুল হামিদ) দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা কিংবা কোনো বাহিনীর আপত্তি ছিল না। নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া হয়নি।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য যেতে দেওয়া হয়েছে।