শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ১২:৫১ পিএম

জুমার খুতবার সময় দান করা যাবে?

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ১২:৫১ পিএম

মসজিদের জন্য দান করা বা দান সংগ্রহ করা নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। ছবি- সংগৃহীত

মসজিদের জন্য দান করা বা দান সংগ্রহ করা নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। ছবি- সংগৃহীত

মুসলমানদের কাছে জুমার দিন অপরিসীম ফজিলতের। আল্লাহ তাআলার কাছে জুমার গুরুত্ব এত বেশি যে, পবিত্র কুরআনে ‘জুমা’ নামে একটি সুরা নাজিল করা হয়েছে। এই দিনের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবিজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো গোসল করে এবং প্রথম প্রহরে মসজিদে যায়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল।’

দ্বিতীয় প্রহরে গেলে গরু কোরবানির সওয়াব, তৃতীয় প্রহরে গেলে ভেড়া, চতুর্থ প্রহরে গেলে মুরগি এবং পঞ্চম প্রহরে গেলে ডিম কোরবানির সওয়াব পাবে। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে মিম্বারে ওঠেন, তখন ফেরেশতারা আর আমল লেখেন না, তারা খুতবা শুনতে থাকেন। (বোখারি : ৮৮১)

এদিকে জুমার নামাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো খুতবা। খুতবা চলাকালে নিশ্চুপ ও মনোযোগসহকারে তা শোনা ওয়াজিব। কিন্তু অনেক মসজিদে দেখা যায়, খুতবা চলাকালে দানবাক্স চলতে থাকে। অথচ হাদিস শরিফে খুতবা চলাকালে অন্যকে চুপ থাকার জন্য বলাও অনর্থক কাজ বলা হয়েছে। সেখানে খুতবার সময় দানবাক্স চালানো তো আরও বড় কাজ।

সুতরাং তা পরিহার করা জরুরি।

নবিজি (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন খুতবা চলা অবস্থায় যদি তোমার পাশের জনকে বলো, ‘চুপ করো’ তাহলে তুমিও একটি অনর্থক কাজ করলে।’ (বোখারি : ৯৩৪)

আরেক হাদিসে নবিজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করে জুমার জন্য মসজিদে এলো, তারপর চুপ থেকে খুতবা শুনল, তার দশ দিনের গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে নুড়ি স্পর্শ করল সে অনর্থক কাজ করল।’ (মুসলিম : ৮৫৭)

খুতবা শোনা এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, খুতবা চলাকালে পাশের ব্যক্তি কথা বললে তাকেও চুপ থাকার জন্য কথা বলার অনুমতি দেননি নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। খুতবা চলাকালীন এ কাজকেও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলা হয়েছে।

মসজিদের জন্য দান করা বা দান সংগ্রহ করা নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। কিন্তু তা যদি খুতবা চলা অবস্থায় করা হয় তাহলে তাও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলে গণ্য হতে পারে।  এ জন্য এ বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকা জরুরি।

সূত্র: মাসিক আল কাউসার

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!