কোরবানির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের সাহায্য করা এবং মুসলিম সমাজে সৌহার্দ্য বজায় রাখা। এ জন্য কোরবানির মাংস সঠিকভাবে বন্টন করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ আদর্শ।
মাংস তিন ভাগে ভাগ করা সুন্নত
একটি ভাগ নিজের জন্য
একটি ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জন্য
একটি ভাগ দরিদ্র ও গরিবদের জন্য
এই নিয়ম অনুসরণ করে মাংস বিতরণ করলে ফজিলত ও সামাজিক বন্ধন শক্ত হয়।
দরিদ্র ও গরিবদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব
কোরবানির মাংস গরিব, এতিম ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা ইবাদতের বিশেষ অংশ। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য দরিদ্রদের সাহায্য জরুরি।
নিজের জন্য মাংস রাখার সীমাবদ্ধতা
নিজেদের জন্য মাংস রাখতে অবশ্যই পরিমিতভাবে রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত না হয় এবং গরিবদের জন্য যথেষ্ট মাংস থাকে। কোরবানির মাংসকে অপচয় না করাই উত্তম।
আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সাথে ভাগাভাগি করা
কোরবানির মাংস আত্মীয়স্বজন, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করলে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বাড়ে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
মাংস সংরক্ষণ ও বিতরণে সতর্কতা
মাংস সংরক্ষণ ও বিতরণে হাইজিন বজায় রাখা জরুরি। তাজা ও পরিষ্কার অবস্থায় মাংস বিতরণ করলে সকলের জন্য স্বাস্থ্যকর হয়।
কোরবানির মাংস বণ্টন ইসলামের সুন্নত ও আদর্শ অনুসারে করা উচিত। মাংস তিন ভাগে ভাগ করে নিজে খাওয়া, আত্মীয়দের দেওয়া এবং গরিবদের সাহায্য করা সমাজে সৌহার্দ্য ও আল্লাহর রহমত বয়ে আনে।
আপনার মতামত লিখুন :