ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫

আশুরায় রোজা রাখতে না পারলে করণীয়

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
আশুরার গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে রোজা। ছবি- সংগৃহীত

সৃষ্টির শুরু থেকে আশুরার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ফলে আশুরার মর্যাদা ও মাহাত্ম্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। আশুরার গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে রোজা। মুসলিমরা দুই দিন রোজা রাখেন। ১০ মহররমের সঙ্গে ৯ অথবা ১১ মহররম মিলিয়ে দুই আশুরার রোজা রাখতে হয়।

আশুরার রোজা সম্পর্কে নবি কারিম (স.) বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোজার কারণে আল্লাহ তায়ালা অতীতের এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম : ১/৩৬৭; জামে তিরমিজি : ১/১৫৮)

আরেক হাদিসে আশুরার রোজার ব্যাপারে আবু হুরায়রা (র.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে নবি করিম (স.) বলেন, ‘রমজানের পর আল্লাহর মাস মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২/৩৬৮; জামে তিরমিজি, হাদিস : ১/১৫৭)

আশুরার রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (র.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (স.)-কে রমজান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)

কেউ কোনো কারণে আশুরায় রোজা রাখতে না পারলে মহররমের ফজিলতপূর্ণ সময়ে অন্যান্য নেক আমল করতে পারবেন। যেমন:

  • অসুস্থকে দেখতে যাওয়া;
  • দান-খয়রাত করা;
  • বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া;
  • নিয়মিত জিকির করা;
  • কুরআন তিলাওয়াত করা;
  • আল্লাহর কাছে দোয়া ও তওবা করা;
  • তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা।

মনে রাখতে হবে, যেকোনো নেক আমলই আল্লাহ তায়ালার প্রিয় এবং তিনি নেক আমলের সওয়াব কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেন। ফজিলতপূর্ণ সময়টি আমল ইবাদতে কাটানো উচিত।