ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

নামাজের পর মোনাজাতের নিয়ম ও ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০৫:৪২ এএম
ছবি- সংগৃহীত

ইসলামে নামাজের পর দোয়া বা মোনাজাতের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, নামাজের পর দোয়া কবুল হয়। ইসলামিক বিধান অনুযায়ী, মুনাজাতের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও বিশেষ দোয়া রয়েছে যা অনুসরণ করলে দোয়া কবুলের সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

মোনাজাতের সুন্নাহ-সম্মত নিয়মাবলি

সালামের পর দোয়া: নামাজ শেষ করে সালাম ফিরানোর পরপরই মোনাজাত শুরু করা উচিত। হাদিস অনুযায়ী, রাসুল (সা.) নামাজের পর দোয়া করতেন এবং বলতেন যে নামাজের পর দোয়া কবুল হয়।

হাত তুলে দোয়া: কাঁধ পর্যন্ত দুই হাত তুলে কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা সুন্নাহ। রাসুল (সা.) বলেছেন, "আল্লাহ লজ্জাশীল, তাই যখন কোনো বান্দা দুই হাত তুলে দোয়া করে, তিনি তা ফিরিয়ে দেন না।"

আল্লাহর প্রশংসা ও দরুদ: মোনাজাত শুরু করার আগে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করা উত্তম। এটি দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বাড়ায়।

নিজের ভাষায় দোয়া: দোয়া যেকোনো ভাষায় করা যায়। মনের কথা আন্তরিকভাবে প্রকাশ করলে আল্লাহ তা কবুল করেন।

আমিন বলে শেষ: দোয়া শেষে ‘আমিন’ বলা সুন্নাহ, যা দোয়া কবুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মোনাজাতে পাঠ করার কিছু বিশেষ দোয়া

রাসুল (সা.) থেকে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত কিছু বিশেষ দোয়া নামাজের পর পাঠ করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালাম...’: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) নামাজের পর এই দোয়াটি পড়তেন, যার অর্থ হলো-‘হে আল্লাহ! তুমি শান্তির উৎস এবং তোমার কাছ থেকে শান্তি আসে, তুমি মহিমান্বিত, হে মহত্ত্ব ও সম্মানের অধিকারী।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৯১)।

  • ইস্তিগফার: নামাজের পর তিনবার ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ বলা। এর অর্থ, ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।’

  • আয়াতুল কুরসি: নিয়মিত নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা দুশ্চিন্তা দূর করে এবং সুরক্ষা প্রদান করে।

  • তিন সুরা: সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস- এই তিনটি সুরা শয়তানের ক্ষতি ও দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা করে। রাসুল (সা.) এগুলো তিনবার পড়তেন।

ইসলামী পণ্ডিতদের মতে, নামাজের পর এই সুন্নাহ-সম্মত নিয়মগুলো অনুসরণ করে দোয়া করলে বান্দার চাওয়া আল্লাহ তা’আলা কবুল করেন।