ঢাকা রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত ও আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৫:০৩ এএম
ছবি- সংগৃহীত

ঘুম মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ নেয়ামতগুলোর মধ্যে একটি। দিনের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায় ঘুমের মাধ্যমে।

পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। রাত্রিকে করেছি আবরণ। (সুরা নাবা, আয়াত: ৯-১০)

ঘুমানোর আগে ছোট্ট একটি দোয়া রয়েছে, যা খোদ রাসুল (সা.) পড়তেন। হুযায়ফা ইবন ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে:

রাসুল (সা.) শোয়ার ইচ্ছা করলে এই দোয়া পড়তেন:
اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া-আহ্‌ইয়াইয়া
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার নামে আমি শয়ন করছি এবং আপনারই অনুগ্রহে আবারও জাগ্রত হবো।
(সুনান আত-তিরমিজি, হাদিস: ৩৪১৭; সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৮৮৫)

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের বিশেষ ফজিলত

ঘুমানোর আগে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আবূ নু’আইম (রহ.) আবূ মাসঊদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করবে, তা তার জন্য যথেষ্ট।
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৬৪৬)

একই হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে, উসমান ইবন হায়সাম (রহ.) আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বলেন, একবার রমজানে আবূ হুরায়রা (রা.) যাকাতের মাল হেফাজতের দায়িত্ব পান। সেই সময় একজন ব্যক্তি খাদ্য-দ্রব্য নিতে উদ্যত হয়। তিনি তাকে ধরে ফেলেন এবং বলেন, আল্লাহর নবীর কাছে যাব।

সেই ব্যক্তি বলেন, যখন আপনি ঘুমাতে যাবেন, আয়াতুল কুরসি পাঠ করুন। আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন পাহারাদার নিযুক্ত হবে, এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান আপনার কাছে আসতে পারবে না।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে সত্য কথা বলেছে, যদিও সে বড় মিথ্যাবাদী শয়তান।
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৬৪৬)