ঢাকা রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

এইচএসসিতে খাতা চ্যালেঞ্জে রেকর্ড আবেদন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৬:৫৭ এএম
এইচএসসিতে খাতা চ্যালেঞ্জে রেকর্ড । ছবি- সংগৃহীত

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট হতে না পেরে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৬১ জন পরীক্ষার্থী। তারা ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ৪ লাখ ২৮ হাজারের বেশি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন-যা এবার রেকর্ড পরিমাণ বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে-৬৬ হাজার ১৫০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৬টি খাতার জন্য। অন্যদিকে সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে, যেখানে ৭ হাজার ৯১৬ জন পরীক্ষার্থী ১৪ হাজার ৭৩৩টি খাতার পুনঃনিরীক্ষণ চেয়েছেন।

কোন বোর্ডে কত আবেদন

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বোর্ডের ৬৬ হাজার ১৫০ জন পরীক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। তারা মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৬টি পত্রের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন।

কুমিল্লা বোর্ডে ২২ হাজার ৫০৩ জন পরীক্ষার্থী ৪২ হাজার ৪৪টি পত্রের খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।

রাজশাহী বোর্ডে ২০ হাজার ৯২৪ জন পরীক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ৩৬ হাজার ১০২টি খাতা।

যশোর বোর্ডে ২০ হাজার ৩৯৫ শিক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ৩৬ হাজার ২০৫টি খাতা।

চট্টগ্রাম বোর্ডে ২২ হাজার ৫৯৫ জন পরীক্ষার্থী ৪৬ হাজার ১৪৮টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।

সিলেট বোর্ডে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ১৩ হাজার ৪৪ জন পরীক্ষার্থী, তারা ২৩ হাজার ৮২টি খাতার পুনর্নিরীক্ষণ চেয়েছেন।

বরিশাল বোর্ডে ৮ হাজার ১১ জন পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার ৪৮৯টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।

দিনাজপুর বোর্ডে আবেদনকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৩১৮ জন। তারা ২৯ হাজার ২৯৭টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।

ময়মনসিংহ বোর্ডে ১৫ হাজার ৫৯৮ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন ৩০ হাজার ৭৩৬ টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ১২ হাজার ৭ জন শিক্ষার্থী ১৫ হাজার ৩৭৮টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ৭ হাজার ৯১৬ পরীক্ষার্থী ১৪ হাজার ৭৩৩টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন।

গত ১৬ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গত ২০ বছরে সর্বনিম্ন।

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।