বলা হয়ে থাকে ‘প্রচারে পরিচিতি, গুণে সমাদর’। প্রতিষ্ঠানের সেবা ও পণ্যকে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে প্রচারের কোনো বিকল্প নেই। আর এ প্রচারের কাজটিই করে থাকে জনসংযোগ বিভাগ। জনসংযোগ বা পাবলিক রিলেশন পেশাটি এখন বিকাশমান একটি কর্মসংস্থান। এ পেশাটি প্রতিষ্ঠানের সুনাম এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু করপোরেট জগতে নয়, সরকারি-বেসরকারি, এনজিও এমনকি রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ পেশার বর্তমান পরিস্থিতি, সম্ভাবনা, ভবিষ্যৎসহ নানা বিষয় তুলে ধরেছেন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ কর্মকর্তারা। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন আরফান হোসাইন রাফি।
ক্যারিয়ারের সৃজনশীল ক্ষেত্র
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জনসংযোগের ক্যারিয়ার এখন অনেক ভালো। আজ থেকে ১৩-১৪ বছর আগে, যখন আমরা এ পেশায় যাত্রা শুরু করি, তখনকার চিত্র একেবারেই ভিন্ন ছিল। তখন জনসংযোগ ছিল তুলনামূলকভাবে অপরিচিত ও অপ্রচলিত একটি ক্ষেত্র। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে।
আন্তর্জাতিকভাবে জনসংযোগ বহু আগেই একটি প্রতিষ্ঠিত ক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃত। আপনি যদি কোনো আন্তর্জাতিক বিজনেস ক্যাম্পেইন বলেন, কিংবা নির্বাচনি প্রচারণার কথা বলেন, সব ক্ষেত্রেই পাবলিক রিলেশন দীর্ঘদিন ধরে কার্যকরভাবে চর্চা হচ্ছে। বাংলাদেশে এটার বিস্তার তুলনামূলকভাবে নতুন, তবে এরই মধ্যেই এর ছাপ দেখা যাচ্ছে নানা উদ্যোগে।
প্রয়াত আনিসুল হকের সময়কালেই দেখা গেছে, কীভাবে জনসংযোগ একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তার সময় মেয়র নির্বাচন থেকে শুরু করে বিজিএমইএ নির্বাচনে বিভিন্ন স্লোগান ও ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়, যা সরাসরি জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ঢাকার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে তার দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্পেইন ছিল জনসংযোগের একটি চমৎকার উদাহরণ।
এখানে মূল বিষয়টি হলো যোগাযোগের দক্ষতা। এ যোগাযোগ হতে পারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা পেশাগত। আপনি বাবা-মায়ের সঙ্গে, সন্তানদের সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে যেভাবে কথা বলেন, সেখান থেকেই এ দক্ষতার ভিত্তি তৈরি হয়।
এরপর যখন কেউ পারিবারিক পরিবেশ ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে, তখন শিক্ষকদের সঙ্গে, সহপাঠী ও সহকর্মীদের সঙ্গে সুন্দরভাবে যোগাযোগ করার প্রয়োজন পড়ে। এ যোগাযোগের দক্ষতা কে কতটা সৃজনশীল ও প্রভাবশালীভাবে কাজে লাগাতে পারে, সেটাই তাকে এগিয়ে রাখে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন এ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে নানা কোর্স চালু করছে।
যোগাযোগ একটি সৃজনশীল ক্ষেত্র, যা সাহিত্যনির্ভর, যেমন বাংলা বা ইংরেজি ভাষার জ্ঞানের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। কারণ, দিনশেষে আপনাকে গল্প বলতে হবে, কিছু সেল করতে হবে, সেটা সংবাদ হতে পারে, কোনো আইডিয়া, কিংবা পণ্যও হতে পারে।
এ জন্য এই বিষয়গুলো জানা থাকলে তা অনেক সহায়ক হয়। সাংবাদিকতা, জনসংযোগ, বিজ্ঞাপন, মিডিয়া পরিকল্পনা কিংবা ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাণ, সব ক্ষেত্রেই এখন বিস্তৃত সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তবে এ পেশার যেমন সম্ভাবনা আছে, তেমনি আছে চ্যালেঞ্জও। তাই যারা এই অঙ্গনে পেশাগতভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাদের জন্য প্রয়োজন, সৃজনশীলতা, সংকট মোকাবিলার দক্ষতা, দ্রুত পরিবর্তনশীল মিডিয়া বাস্তবতাকে বুঝে নিজেকে অভিযোজিত করার ক্ষমতা।
মো. জাকারিয়া রহমান
হেড অব মিডিয়া কমিউনিকেশনস
ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশসন ডিভিশন
প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি।
সম্ভাবনার এক বিস্তৃত ভুবন
জনসংযোগের ক্যারিয়ার এখন অনেক ভালো। আগে তো অনেক জায়গায় কমিউনিকেশন বা পাবলিক রিলেশনস বলে কোনো পোস্ট ছিল না। হয়তো সরকারি কিছু অফিসে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য একটি জনসংযোগের পোস্ট ছিল, কিন্তু সেটা এখন অনেক বড় পরিসরে বিস্তৃত হয়েছে। এখন এনজিও থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই পোস্ট রাখছে।
শুধু বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য নয়, মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা, প্রতিষ্ঠানের ইভেন্টগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থাও এই সেক্টরের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যেহেতু বর্তমানে প্রচুর প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, তাই এ খাতে অনেক চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এটি সম্মানজনক একটি অবস্থান বলা যায়। আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে এ পেশার ক্যারিয়ার আরও বড়। বাংলাদেশে এ পেশায় কাজের পরিধি কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ হলেও, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এটি অনেক বড় পরিসরে পরিচালিত হয়।
উদাহরণস্বরূপ, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, একটি এনজিওর হয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়, এসব দায়িত্ব একজন কমিউনিকেশনস অফিসার খুব দক্ষভাবে পালন করেন। কারণ, তিনি জানেন কীভাবে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে হয় এবং তার কাজের ব্যাপ্তিও অনেক বড়। তার ভূমিকা নির্দিষ্ট কোনো গণ্ডিতে আটকে থাকে না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যারা এ পেশায় কাজ করেন, তাদের কাজের পরিধিও বড় হয় এবং প্রভাব-প্রতিপত্তিও বেশি থাকে। তবে এ পেশায় চ্যালেঞ্জও কম নয়।
অনেক সময় দেখা যায়, কোনো কোম্পানির নেতিবাচক দিক গণমাধ্যমে উঠে এলে, সেটি সামাল দেওয়ার দায়িত্ব পড়ে কমিউনিকেশনস টিমের ওপর। কোনো ব্যক্তির একটি ভুল পুরো প্রতিষ্ঠানের বদনামের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি হ্যান্ডেল করা, মিডিয়াকে যথাযথ তথ্য দেওয়া এবং সঠিকভাবে মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এ ছাড়া সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সব মিডিয়ার কাছে সমানভাবে বার্তা পৌঁছানো কঠিন। দেখা যায়, আমি ১০টি মিডিয়াকে নিউজ পাঠালাম, কিন্তু বাকি ২০টি মিডিয়া সেই খবরই পেল না। ফলে ভুল বার্তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তাই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য নিজের অবস্থান বাড়াতে হবে, কমিউনিকেশনের দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় দখল রাখতে হবে। বর্তমানে প্রযুক্তির কারণে এ কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে। আগে যেখানে টেলিফোন ছিল একমাত্র ভরসা, এখন ইমেইলসহ অনেক অনলাইনভিত্তিক মাধ্যম রয়েছে। একটি বার্তা এখন সহজেই সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
উদাহরণস্বরূপ, আমার যদি একটি ফেসবুক পেজ থাকে যেখানে মিলিয়ন ফলোয়ার আছে, তাহলে সেখানে একটি পোস্ট দিয়েই লাখো মানুষের কাছে একসঙ্গে বার্তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এ ধরনের টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে যেমন কাজের পরিধি বাড়ে, তেমনি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলাও সহজ হয়।
অর্থনৈতিক দিক দিয়েও এই পেশা এখন অনেকটা স্বাবলম্বী। বিশেষ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কমিউনিকেশনস অফিসারদের খুব গুরুত্ব দেয়, ভালো বেতন দেয়। কারণ, তারা ভালো করেই বুঝতে পেরেছে, একটি প্রতিষ্ঠানের প্রচার ও ভাবমূর্তি রক্ষায় একজন যোগ্য সংযোগ কর্মকর্তার গুরুত্ব কতখানি। তাই তারা নিজেদের খ্যাতি ধরে রাখতে একজন দক্ষ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয় এবং উপযুক্ত সম্মানী দেয়।
এ পেশায় একজন একেবারে ফ্রেশার ২০-২৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে শুরু করতে পারেন, আর বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের হেড অব ব্র্যান্ড বা পিআর পজিশনে চার-পাঁচ লাখ বা তার চেয়েও বেশি বেতন পাওয়া যায়। তবে একটা ভুল ধারণা অনেকের মধ্যে আছে, সাংবাদিকতা বা গণযোগাযোগে পড়াশোনা না করলে এ পেশায় আসা যাবে না। এটি ভুল। আসলে এটা নির্ভর করে একজন ব্যক্তির নিজের লিঙ্কআপ এবং নেটওয়ার্কিং স্কিলের ওপর। যে কেউ এ পেশায় আসতে পারে, যদি সে নিজেকে যথাযথভাবে সংযুক্ত রাখতে পারে। অবশ্য সাংবাদিকতাভিত্তিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলে সেটি একটি প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।
কারণ, তখন সে সংবাদপত্রের ভাষা বোঝে, লেখা বোঝে, আর জানে কীভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ রাখতে হয়। সবশেষে এটুকু বলা যা, এ পেশায় সফল হতে হলে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে এবং যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ সচেতন প্রস্তুতিটুকু থাকলে জনসংযোগ হতে পারে ক্যারিয়ারের এক সম্ভাবনাময় ভুবন।
রেজাউর রহমান রিজভী
সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ডেপুটি হেড
ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিভিশন
ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি।
প্রতিষ্ঠিত এক ক্যারিয়ার পথ
বর্তমান বাংলাদেশে জনসংযোগ একটি প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন এটি প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক চাহিদা তৈরি করছে। কোম্পানিগুলো এখন সচেতনভাবে ভাবছে, যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য একটি আলাদা ডিপার্টমেন্ট ও দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন। জায়গাটি এখন অনেক সুসংগঠিতভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, যা এক দশক আগেও কল্পনা করা যেত না।
১০ বছর আগেও যখন কেউ এ বিষয়ে ভাবত, তখন কোম্পানিগুলো তেমন গুরুত্ব দিত না, মিডিয়া রিলেশন বা কমিউনিকেশনের জন্য আলাদা কর্মী বা ডিপার্টমেন্ট দরকার। কিন্তু এখন দৃশ্যপট বদলেছে। পাশাপাশি আমাদের দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই এখন পাবলিক রিলেশন বা জনসংযোগ নিয়ে আলাদা বিভাগ চালু হয়েছে। ফলে একে কেন্দ্র করে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে তো এটি বহু আগেই একটি সুপ্রতিষ্ঠিত পেশা।
যেখানে এর পরিধি আরও বিস্তৃত, কাজের সুযোগও অনেক বেশি। তুলনায় আমরা এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবে বলা যায়, আমরা সে পথে অগ্রসর হচ্ছি। আমাদের দেশে জনসংযোগ গত ১০-১৫ বছর ধরে গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে, আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটি বহু আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত।
বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ, বিশেষ করে টেলিকম খাত ও ব্যাংকিং সেক্টরগুলো শুরু থেকেই জনসংযোগের গুরুত্ব বুঝেছে এবং সেখানেই এটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তুলনামূলকভাবে আমরা দেরিতে শুরু করলেও বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে খাতটি বিস্তৃতি লাভ করছে।
আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের শক্ত অবস্থানে তুলে ধরতে পারব। সেই আশার ভিত তৈরি হচ্ছে এখন। তবে অন্য সব পেশার মতো এ পেশাতেও রয়েছে চ্যালেঞ্জ। এটা কোনোভাবেই চ্যালেঞ্জবিহীন পেশা নয়। আসলে যেকোনো পেশায়ই চ্যালেঞ্জ থাকে, আপনি যদি বিসিএস ক্যাডার হন, সেখানেও চ্যালেঞ্জ আছে।
আবার একজন ইলেকট্রিশিয়ান হলেও তার কাজেও রয়েছে চ্যালেঞ্জ। তবে জনসংযোগে চ্যালেঞ্জটা হয় কমিউনিকেশনের জায়গায়। আপনি যত বেশি মিডিয়া এবং অন্যান্য সেক্টরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারবেন, কাজ ততটাই সহজ হবে।
এ পেশায় অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যত বেশি অভিজ্ঞ হবেন, তত দ্রুত কাজগুলো বোঝা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে উঠবে। কিন্তু যদি আপনি কমিউনিকেশনভিত্তিক মানুষ না হন, তাহলে আপনাকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এ জন্য একজন ইনট্রোভার্ট (নির্জনপ্রিয়) মানুষ হলেও, তার মধ্যে থাকতে হবে চারপাশে কী ঘটছে এবং কী ঘটতে পারে সেই বিষয়গুলো বুঝে নেওয়ার সক্ষমতা। আপনাকে দূরদর্শী চিন্তা করতে জানতে হবে, আর যত বেশি দূরদর্শী হবেন, আপনার জন্য ততটাই ইতিবাচক ফল আসবে।
তবে যারা এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের অবশ্যই জানতে হবে 5W 1H-Who, What, When, Where, Why এবং How এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে নেওয়ার চর্চা থাকতে হবে। একসময় আমাদের দেশে জনসংযোগে পড়াশোনার সুযোগ খুব সীমিত ছিল। মানুষ বিষয়টাই খুঁজেপেত না। কিন্তু এখন শিক্ষাজীবন থেকেই জনসংযোগ নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
ফয়েজুর রহমান সৌখিন
ব্র্যান্ড অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস
হাভাস মিডিয়া গ্রুপ