বৃষ্টি বিঘ্নিত সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন মোটামুটি কর্তৃত্ব করেছিল বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে দিন শেষ করেছিল। লিড নিয়েছিল ১১২ রানের। কিন্তু বৃষ্টি বিঘ্নিত চতুর্থ দিন সকালেই ৩ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে গেছে বাংলাদেশ।
দিনের খেলা গড়িয়েছে মোটে ১০ ওভার। তার মাঝেই বাংলাদেশ হারিয়েছে তিন উইকেট। দিনের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তারই দেখানো পথে হেঁটেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম।
এর মাঝে মিরাজ এবং তাইজুল ফিরেছেন মোটে ৮ বলের ব্যবধানে। এই প্রতিবেদন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান। বাংলাদেশের লিড এখন ১৩৬ রানের।
আগের দিনের সঙ্গে নতুন করে রান যোগ করার আগেই অধিনায়ক শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় বলেই পুল শট খেলতে চেয়েছিলেন। তবে ঠিকমতো টাইমিং হয়নি, ব্যাটের ওপরের কাণায় লেগে ক্যাচ উঠে যায় লং লেগে। অনেকটা দৌড়ে এসে বেশ ভালো একটা ক্যাচ নেন নিয়াগুচি। মিরাজও আউট হয়েছেন মুজারাবানির বলেই।
আজও ক্রিজে এসে লম্বা সময় থাকা হয়নি মিরাজের। ১৬ বল খেলে ১১ রানে মুজারাবানির শর্ট লেন্থের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। লিডের খাতায় ১৮ রান যোগ করতেই দুই উইকেট মুজারাবানির দখলে। মুজারাবানির দেখাদেখি উইকেট পেয়েছেন এনগারাভাও। তাইজুল ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটকিপার মায়াভোকে।
চতুর্থ দিন বাংলাদেশ খেলতে নেমেছিল ১১২ রানের লিড নিয়ে। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল ১৯১ রান। একমাত্র মুমিনুল হকের ৫৬ রান ছাড়া বলার মতো সংগ্রহ ছিল না কারোরই।
জবাবে ব্রায়ান বেনেট এবং শন উইলিয়ামসের ব্যাটে চড়ে লিড পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। শেষ দিকে এনগারাভার ২৮ এবং মুজারাবানির ১৭ রানের সুবাদে ৮২ রানের একটা লিড পেয়েও যায় জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দলীয় ১৩ রানেই হারায় সাদমান ইসলামের উইকেট। এরপর জয়-মুমিনুল জুটি স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৪৪ রান। শান্ত পরবর্তীতে ফিফটি পেয়েছেন। সেটাই বাংলাদেশকে বসিয়েছে চালকের আসনে।
আপনার মতামত লিখুন :