প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাবর্তনের আরও একধাপ কাছে পৌঁছে গেল বাংলাদেশি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর দল শেফিল্ড ইউনাইটেড। চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ব্রিস্টল সিটিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে তারা।
প্রথম লেগেও একই ব্যবধানে জয় পাওয়ায় অ্যাগ্রিগেট স্কোরে ৬-০ তে এগিয়ে থেকে ফাইনালের মঞ্চে পা রাখল ইয়র্কশায়ারের এই ক্লাবটি।
সোমবার রাতে ব্রামাল লেনে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ওয়েলসের ফরোয়ার্ড কিফার মুর প্রথমার্ধেই কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে গুসতাভো হ্যামার ও ক্যালাম ও’হেয়ার আরও দুটি গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন।
এই ম্যাচে শেফিল্ড ইউনাইটেডের রক্ষণভাগের ডান প্রান্তে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দেখা যায় হামজা চৌধুরীকে। মৌসুমজুড়েই রক্ষণভাগে তার অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য এবং এই ম্যাচেও তিনি তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন।
রাইটব্যাক হিসেবে খেলতে নেমে তিনি ৪টি সফল ট্যাকল, ১টি ক্লিয়ারেন্স এবং ২ বার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল পুনরুদ্ধার করে ব্রিস্টলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের হতাশ করেন। গ্রাউন্ড ডুয়েলে তার সাফল্যের হার ছিল ঈর্ষণীয়, ৮৩ শতাংশ।
শুধু রক্ষণভাগেই নয়, এরিয়াল ডুয়েলেও তিনি প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ভালোভাবে সামলেছেন। আক্রমণেও তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রতিপক্ষের ফাইনাল থার্ডে তিনি ৪টি সফল পাস দেন এবং পুরো ম্যাচে তার পাসের নির্ভুলতার হার ছিল ৯৩ শতাংশ। গোল কিংবা অ্যাসিস্ট না থাকলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে এবং খেলায় তার প্রভাব ছিল স্পষ্ট।
দলের এমন পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত শেফিল্ড কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার বলেন, ‘এমন রাত উপভোগ করার জন্যই। আমাদের জন্য এটা একটা কঠিন মৌসুম ছিল। ঘরের মাঠে এমন একটি রাত ছেলেদের মনোবল আরও বাড়িয়ে দেবে। এটা তাদের প্রাপ্য।’
এদিকে ওয়েম্বলিতে আগামী ২৪ মে অনুষ্ঠিত ফাইনালে শেফিল্ড ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ হবে সান্ডারল্যান্ড অথবা কভেন্ট্রি সিটি। বর্তমানে সান্ডারল্যান্ড তাদের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-১ গোলে এগিয়ে রয়েছে এবং আগামীকাল তাদের দ্বিতীয় লেগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :