ভারতীয় ক্রিকেট দল ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বরের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের স্মৃতি সহজে ভুলতে পারবে না, যখন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে মত্ত ছিল আর বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা কাঁদছিলেন।
১৯ মাস পর আবারও কোহলির চোখে দেখা গেল অশ্রু, তবে এবার তা আনন্দের।
গত রাতে আহমেদাবাদে আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসের শশাঙ্ক সিং শেষ বলে ছক্কা মারলেও তা ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৬ রানে জিতে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
জয়ের পর ক্যামেরার লেন্স সরাসরি কোহলির দিকে ঘুরতেই দেখা যায়, আহমেদাবাদের নরম ঘাসে বসে অঝোরে কাঁদছেন এই তারকা ব্যাটার। ১৭ বছরের অপেক্ষার পর ১৮তম আসরে পরম আরাধ্য শিরোপা জয়ের আনন্দাশ্রু যেন থামার নামই নিচ্ছিল না।
যে শিরোপার গেরো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু গত ১৭ মৌসুমে খুলতে পারেনি, ১৮তম বারে এসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেই অনুভূতির কথা কোহলির চেয়ে ভালো আর কে বলতে পারে!
এদিন, ভারতীয় এই তারকা ব্যাটার চ্যাম্পিয়ন হয়ে তাঁর স্ত্রী আনুশকা শর্মাকে জড়িয়ে ধরেন। ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম মৌসুম থেকে বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলা কোহলি যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন।
ফাইনাল শেষে তিনি বলেন, ‘এই জয় দলের যতটা, ভক্ত-সমর্থকদেরও ততটা। ১৮ বছরে আমি আমার যৌবন, ক্যারিয়ারের সেরা সময় ও অভিজ্ঞতা সবই কাজে লাগিয়েছি। প্রতি মৌসুমেই জেতার চেষ্টা করেছি।
নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি। অবশেষে সেই মুহূর্তটা এলো। এই অনুভূতি অসাধারণ। এমন দিন যে আসবে, কখনোই কল্পনা করিনি।’
গত রাতটা যেন আহমেদাবাদে কোহলিময় হয়ে উঠেছিল। জিতেশ শর্মা, জশ হ্যাজলউড থেকে শুরু করে বেঙ্গালুরুর মেন্টর দিনেশ কার্তিক সবার মুখেই কোহলির নাম।
১৮তম বারে এসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কোহলির মনের ভাষা সবাই যেন পড়তে পেরেছেন। এমন ভালোবাসা পেয়ে ভারতীয় এই ব্যাটার আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
কোহলি বলেন, ‘আমি সবসময় এই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছি। শিরোপা জয়ের চেয়েও আমার কাছে এই মুহূর্তটা বিশেষ। কারণ, আমার হৃদয় বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। আত্মা বেঙ্গালুরুর সঙ্গে।
আমি যেমনটা বলেছি, আইপিএল ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর হয়েই খেলব।’
আপনার মতামত লিখুন :