ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি আগামী বছরই তার গৌরবময় ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারেন এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন ফ্রান্সের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী তারকা ইমানুয়েল পেটিট।
তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপই হতে পারে মেসির বিদায়ের মঞ্চ।
২০০৪ সালে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেকের পর প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ারে ৮টি ব্যালন ডি'অরসহ ৫৬টি একক পুরস্কার এবং ৪৬টি দলীয় ট্রফি জিতেছেন মেসি।
তবে বয়সের ভারে ক্লান্ত এই মহাতারকা এখন ৩৮ বছরে পা রেখেছেন। একই বয়সি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে অবস্থান করছেন।
রোনালদো সম্প্রতি সৌদি আরবে নিজের চুক্তি নবায়ন করেছেন এবং ১,০০০ গোলের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। কিন্তু মেসির ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত।
২০২৩ সালে ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়া মেসির সঙ্গে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি এমএলএস মৌসুমের পরই।
বিশ্লেষকরা মেসির ভবিষ্যৎ গন্তব্য হিসেবে সৌদি আরব, ইউরোপে প্রত্যাবর্তন বা বার্সেলোনায় ফেরার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করছেন।
তবে সাবেক বার্সা তারকা পেটিট-এর মতে, মেসির ইউরোপে ফেরার সম্ভাবনা নেই। আমি চাই সে বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলুক এবং এরপরই অবসর নিক।
বার্সেলোনায় ফেরা অসম্ভব?
এস্ক্যাপিস্ট ম্যাগাজিন-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেটিট বলেন, মেসি নাম্বার ১০ পজিশনে খেলতে পারে, কিন্তু এখন সে আর দৌড়ায় না।
শুধু দুজন মিডফিল্ডার নিয়ে কি বার্সা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে? আধুনিক ফুটবলে এমন খেলোয়াড়ের জায়গা নেই যারা কম দৌড়ায়।
তিনি আরও বলেন, রোনালদো বা মেসি—এই বয়সে তাদের বিশাল বেতনের ভার কোন ইউরোপিয়ান ক্লাব বহন করবে? তারা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে দশজন খেলোয়াড়কে তাদের জন্য পরিশ্রম করতে হয়।
মিয়ামিতে ভবিষ্যৎ?
তবে পেটিট-এর বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন মার্কিন ক্রীড়া সাংবাদিক ডেভিড অর্নস্টেইন। তিনি ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-কে জানিয়েছেন, মেসিকে নিয়ে ইন্টার মিয়ামি কর্তৃপক্ষ ‘চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী’ যে তারা ২০২৬ সাল পর্যন্ত মেসির চুক্তি বাড়াতে পারবে।
ক্লাবের ব্যবস্থাপনা প্রধান জর্জ মাস বলেন, সবকিছু সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ক্লাব এবং মেসির জন্য এক অপূর্ব ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। সবকিছু নির্ভর করছে ওর সিদ্ধান্তের উপর। আমি আশাবাদী, আগামী ৬০-৯০ দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্তটা চূড়ান্ত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :