সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়োগো জোতা নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং অতিরিক্ত গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানিয়েছে স্প্যানিশ পুলিশ। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ছোট ভাই আন্দ্রে সিলভাও নিহত হন।
২৮ বছর বয়সি লিভারপুল ফরোয়ার্ড জোতা ও তার ২৫ বছর বয়সি ভাই আন্দ্রে গত বৃহস্পতিবার ভোরে একটি ল্যাম্বরগিনি গাড়িতে করে স্পেনের পালাসিওস দে সানাব্রিয়া অঞ্চলের এ৫২ মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় পড়েন।
ধারণা করা হচ্ছে, ওভারটেক করার সময় গাড়ির একটি চাকা বিস্ফোরিত হয় এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে আগুনে পুড়ে যায়।
স্পেনের গার্দিয়া সিভিল ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনাস্থলে গাড়ির টায়ারের দাগ ও অন্যান্য আলামত বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছেন, গাড়িটি জোতা নিজেই চালাচ্ছিলেন।
পুলিশ আরও বলেন, এই দুর্ঘটনার সবচেয়ে বড় সম্ভাব্য কারণ অতিরিক্ত গতি, যা মহাসড়কের সর্বোচ্চ গতিসীমা ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
তদন্ত নিয়ে পুলিশ জানান, তদন্তকাজ এখনও চলমান রয়েছে এবং আগুনে গাড়ির প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া সব তথ্য-প্রমাণ দিয়োগো জোতার নিজেই গাড়িটি চালান বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
জোতা ও আন্দ্রে সিলভা ছুটি কাটিয়ে স্পেনের সানতান্দার বন্দরের পথে যাচ্ছিলেন, সেখান থেকে জোতা লিভারপুলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল জোতার বিয়ের মাত্র ১১ দিন পর। তিনি কিছুদিন আগেই তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী রুতে কারদোসোর সঙ্গে বিয়েতে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে রয়েছে তিন সন্তান।
ঘটনার পরপরই পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তার সম্মানে শোক ও শ্রদ্ধা জানানো হয়। লিভারপুল, উলভারহ্যাম্পটন ও জাতীয় দলের সাবেক-বর্তমান সতীর্থরা তাকে 'অনুপ্রেরণার প্রতীক' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
জোতা ও তার ভাইয়ের শেষকৃত্য ইতোমধ্যে পর্তুগালের গনদোমার শহরে সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, দুর্ঘটনার স্থানে সড়কে কোনো ধরনের কারিগরি ত্রুটি বা 'ব্ল্যাক স্পট' ছিল না এবং রাস্তার অবস্থা এমন ছিল যে, সেটি ১২০ কিমি/ঘণ্টা গতিরও উপযুক্ত ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :