বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের পর দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজনে পুরোদমে ব্যস্ত বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
চলতি বছরের ডিসেম্বরেই টুর্নামেন্টটি আয়োজনের ব্যাপারে সরকারের সবুজ সংকেতও পেয়েছে বিসিবি। তবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং জাতীয় নির্বাচন থাকায় বিপিএলের জন্য মাত্র এক মাসের উইন্ডো পাচ্ছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
হাতে সময় কম থাকায় এবার পাঁচ কিংবা সর্বোচ্চ ছয় দল নিয়েই বিপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বিসিবি।
এদিকে, বিসিবির সহসভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, আগামী আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ নভেম্বর।
এবারের বিপিএলকে আকর্ষণীয় করতে এমন কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা আগের আসরগুলোতে ছিল না। প্রথমবারের মতো ভেন্যু বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ এরই মধ্যে রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের দুটি স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছে।
আর্থিক দিক থেকেও এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য নতুন সুবিধা যোগ হচ্ছে। এবারের বিপিএল থেকে প্রতিটি টুর্নামেন্টের টিভি সম্প্রচার স্বত্ব, গ্রাউন্ডস স্বত্ব, টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মোট লাভের ৩০ শতাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করবে বোর্ড।
একই সঙ্গে মাঠের প্যারিমিটার বোর্ডেও প্রতিটি ম্যাচে ১৫ মিনিট করে মোট ৩০ মিনিট ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে দেওয়া হবে নিজেদের প্রচার চালানোর জন্য।
আসন্ন বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা। আগামী পাঁচ মৌসুমের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি পেলেও প্রতি বছর এই ফি ১৫ শতাংশ হারে বাড়বে।
অর্থাৎ পরের বছর তা দাঁড়াবে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তবে দল পেতে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ ১০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে, যা বোর্ডের কাছে ছয় মাস থাকবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন