এশিয়া কাপ ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে নবমবারের মতো শিরোপা জিতেছে ভারত। দুবাইয়ের আকাশ রঙিন আতশবাজিতে আলোকিত হয় রোববার রাতে, যখন রিঙ্কু সিংয়ের বাউন্ডারিতে দলটি ৫ উইকেটে রোমাঞ্চকর জয় নিশ্চিত করে।
তরুণ তিলক ভার্মা দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান শেষ পর্যন্ত, আর বল হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন কুলদীপ যাদব।
এই জয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছে ভারতীয় ক্রিকেট মহল। সাবেক তারকা ভিভিএস লক্ষ্মণ এক্সে লিখেছেন, ‘এই ট্রফি শুধু জয়ের নয়, এটি সাহস, বিশ্বাস আর পতাকার জন্য খেলার প্রতীক। তিলক তারুণ্যেই প্রমাণ করেছে বড় মঞ্চ সাহসীদের জন্য।’
সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী লিখেন, ‘টানটান উত্তেজনার ফাইনালে শান্ত থেকে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে তিলক। কঠিন মুহূর্তে দারুণ চরিত্র দেখিয়েছে সবাই।’
অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব লিখেছেন, ‘বিশেষ জয়, বিশেষ দল। প্রতিটি মুহূর্ত ও প্রচেষ্টা কাজে এসেছে। এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে গর্বিত।’
সাবেক বিশ্বজয়ী যুবরাজ সিং ম্যাচটিকে ‘নিখুঁত ফাইনাল’ আখ্যা দিয়ে লিখেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তান লড়াই এর চেয়ে বড় মঞ্চ হয় না। তিলকের ইনিংস অসাধারণ।
তিনি আরও লিখেন, কুলদীপ বল হাতে দুর্দান্ত, আর সঞ্জু স্যামসন সব সময়ের মতো স্থির। একইসঙ্গে তিনি তার শিষ্য অভিষেক শর্মাকে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা জানান।
আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ ভারতের ধারাবাহিক সাফল্যের প্রশংসা করে লিখেছেন, অপরাজিত থেকে শিরোপা জেতা ভারতীয় ক্রিকেটের উৎকর্ষ ও দৃঢ়তার প্রমাণ।
সাবেক স্পিনার হরভজন সিং লিখেছেন, ‘ভারত কা বিজয় তিলক। সাবাশ তিলক ভার্মা।’
ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি লিখেছেন, ‘অপরাজিত ধারা, অদম্য স্পিরিট—এশিয়া কাপ ২০২৫ আমাদের। ৯ বার চ্যাম্পিয়ন ভারত।’
ভারত নারী দলের কিংবদন্তি পেসার ঝুলন গোস্বামী লিখেছেন, ‘তিলকের নির্ভীক ব্যাটিং আর কুলদীপের জাদুকরী স্পেল চোখের পরম তৃপ্তি। ভারতকে অভিনন্দন।’
সঞ্জয় মাঞ্জরেকার লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রিয় দিক হলো, তারা ম্যাচ জেতে স্টাইলের সঙ্গে। কঠিন ম্যাচও।’
সাবেক তারকা অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান তিলকের ইনিংসকে বিরাট কোহলি-সুলভ আখ্যা দিয়ে লিখেন, ‘চাপের ম্যাচে এটাই তিলকের ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। ভারত-পাকিস্তানের ব্যবধান স্পষ্ট, ভারত অনেক এগিয়ে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন