নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ আগে, কিন্তু এর সাফল্যের রেশ এখনও বিশ্ব ক্রিকেটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দর্শক উপস্থিতি, সম্প্রচার রেকর্ড ও ডিজিটাল ভিউতে নতুন ইতিহাস গড়ার পর নারীদের ক্রিকেটকে আরও বড় আকারে বিশ্বমঞ্চে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
দুবাইয়ে আইসিসির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকের শেষ দিনে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৯ সালের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে দল সংখ্যা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ১০টি। একই সঙ্গে ম্যাচ সংখ্যা ৩১ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ করা হবে।
আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নারী ক্রিকেটের প্রতি দর্শকের আগ্রহ ও বৈশ্বিক বাজারে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে টুর্নামেন্টটি আরও বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে। বোর্ডের মতে, নারী ক্রিকেট এখন অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তায় পৌঁছেছে এবং এই ধারা অব্যাহত রাখতে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি।
চলতি বছর ভারত–শ্রীলঙ্কায় হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে জমজমাট ফাইনালে ভারত ৫২ রানে পরাজিত করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। হারমানপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে দেশের মাটিতে মেয়েদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছ্বাসের ঢেউ।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এবারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে খেলা দেখেছেন ৪৪ কোটি ৬০ লাখ দর্শক। কানেক্টেড টিভিসহ মোট দর্শকসংখ্যা ছুঁয়েছে প্রায় ৫০ কোটির কাছাকাছি—যা নারীদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রায় তিন লাখ দর্শক, আর ফাইনাল ম্যাচটি সরাসরি দেখেছেন ২ কোটি ১০ লাখ দর্শক।
অনলাইন সম্প্রচার ও টিভি ভিউতে এই রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে বহু পুরোনো বিশ্বকাপ আসরকে। কানেক্টেড টিভি প্ল্যাটফর্মে ৯ কোটি ২০ লাখ দর্শকের উপস্থিতি ছুঁয়ে ফেলেছে পুরুষদের ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের রেকর্ডকেও।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পরিবর্তন আনছে আইসিসি। আগামী বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য আসরে দল থাকবে ১২টি, যেখানে আগের আসরে ছিল ১০ দল।
উল্লেখ্য, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলসংখ্যার সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ছিল ১৯৯৭ সালে—যখন ভারত আয়োজক হয়ে ১১ দলকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছিল। সেই আসরের শিরোপা গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ঝুলিতে।



