ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

রাকিবের গোলে ব্যবধান কমাল বাংলাদেশ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

হামজার দুর্দান্ত পাসে ৬৭ মিনিটে রাকিবের গোল। ব্যবধান কমিয়ে ১-২ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ।

এর আগে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথমার্ধেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে সিঙ্গাপুরকে এগিয়ে দেন সং উই ইয়ং। বাংলাদেশ শুরুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই করেছিল, কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা।

ম্যাচের শুরু থেকে শরীরী ভাষা ছিল আগ্রাসী। প্রতিপক্ষকে মাঝমাঠেই আটকে রাখার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে বসে লাল-সবুজরা।

থ্রো-ইন থেকে গোলমুখে আসা বল পাঞ্চ করতে গিয়ে গোললাইনের বাইরে সরে গিয়েছিলেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ফিরতি বলে সং উই ইয়ংয়ের প্লেসিং ঠেকাতে পারেননি হামজা চৌধুরী, যদিও শেষ মুহূর্তে তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল পারফরমার ছিলেন অভিষিক্ত শমিত সোম। মধ্যমাঠ থেকে একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করেন তিনি। প্রথমার্ধে পাঁচটি নিখুঁত বল বাড়িয়েছিলেন, যার প্রতিটি থেকেই গোল হতে পারতো। তবে রাকিব হোসেন ও ফাহামিদুল ইসলাম সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।

প্রথম সুযোগ আসে সিঙ্গাপুরের পক্ষ থেকেই। ৯ মিনিটে হারিস স্টুয়ার্টের লম্বা থ্রো থেকে উইয়ং সং বল পায়ে পেলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে বাইরে মেরে বসেন। ১৬ মিনিটে বাংলাদেশের সামনে আসে দারুণ এক সুযোগ। ডান দিক থেকে শাকিল আহাদ তপুর ক্রসে বল ছোট বক্সে পড়ে রাকিব হোসেনের সামনে। কিন্তু বল পায়ে লাগাতে না পারায় হতাশ করেন তিনি।

৩০ মিনিটে বাংলাদেশ নিশ্চিত গোল হজম থেকে রক্ষা পায় গোলরক্ষক মিতুল মারমার কল্যাণে। এককভাবে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া ইকশান ফান্দির শট বাম হাতে ঠেকিয়ে দেন তরুণ এই গোলরক্ষক। সার্বিকভাবে প্রথমার্ধে দারুণ লড়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে না পারায় বিরতিতে যেতে হয় ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে। 

বিরতির পর ৫৮ মিনিটে সিঙ্গাপুর আবারও এগিয়ে যায়। বক্সের বাইরে থেকে হামিন শায়িনের জোরালো শট মিতুল মারমা ঠিকঠাক প্রতিহত করতে পারেননি। বল পড়ে সামনে থাকা ইকসান ফান্ডির কাছে। তার বুদ্ধিদ্বীপ্ত শট হৃদয়ের ফাঁক গলে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।