বেন ডাকেটের ঝড়ো ব্যাটিং ও জেমি স্মিথের প্রথম আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২৪৮ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। যা তাদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি সংগ্রহ।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১১ রানে আটকে রেখে ৩৭ রানে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড, ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে স্বাগতিকদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও, ব্যর্থ হয় লাইন-লেন্থ ধরে রাখতে। সাউথ্যাম্পটনের রোজ বোলের ব্যাটিং স্বর্গে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা একের পর এক ছক্কা হাঁকান। ইনিংসে মোট ১৫টি ছক্কা মারে ইংল্যান্ড।
ডাকেট ৪৬ বলে ৮৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে, ওপেনার জেমি স্মিথ মাত্র ২৬ বলে করেন ৬০ রান। এটি তার প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি।
তাদের ওপেনিং জুটিতে আসে ১২০ রান মাত্র ৬৩ বলে। ১০ ওভারে তখন স্কোর ছিল ১৩৫ রান যা ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
শেষ দিকে হ্যারি ব্রুক (২২ বলে অপরাজিত ৩৫) ও জ্যাকব বেথেল (১৬ বলে ৩৬) জুটি ৩১ বলে ৭০ রান যোগ করে স্কোর নিয়ে যান ২৪৮ রানে।
পুরো ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ২৫টি ডট বল করতে পেরেছে, যা ইংল্যান্ডের একটি সম্পূর্ণ ইনিংসে সবচেয়ে কম ডট বল খাওয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক শাই হোপের ২৭ বলে ৪৫ রানের ইনিংস কিছুটা আশা জাগালেও বড় স্কোরের সামনে ছিল অপর্যাপ্ত।
শেষদিকে রভম্যান পাওয়েল ৪৫ বলে অপরাজিত ৭৯ রানে কিছুটা লড়াই করেন, কিন্তু উইকেট হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২১১ রানেই থামে সফরকারীরা।
ইংল্যান্ডের লুক উড ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট, বোলারদের কঠিন রাতে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে সফল।
জয়ের পর হ্যারি ব্রুক বলেন, ‘ছেলেরা অসাধারণ খেলেছে। ব্যাটিং লাইনআপ বড় থাকায় ওপেনাররা শুরু থেকেই বড় শর্ট খেলতে পারে, যেটা আজ দুর্দান্তভাবে কাজে দিয়েছে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ বলেন, ‘ব্যাটিং-বোলিং কোনো দিক থেকেই আমরা ধারাবাহিক নই। প্রতিটি ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো হাতছাড়া করেছি। উন্নতি করতে হবে সব জায়গায়।’
এই ম্যাচে দুই দলের সম্মিলিত রান ছিল ৪৫৯, যা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত কোনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।