ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই এক ভিন্ন উন্মাদনা, যা কেবল দুই দেশের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তবে এবারের এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শেষ হয়েছে এক অপ্রত্যাশিত এবং তিক্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে।
দুবাইয়ে ভারতের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা যখন স্বাভাবিক সৌজন্যতা হিসেবে হাত মেলানোর জন্য অপেক্ষা করছিল, তখন ভারতীয় দল সরাসরি ড্রেসিংরুমে ফিরে যায়। এই ঘটনা জন্ম দিয়েছে তুমুল বিতর্কের, আর প্রশ্ন উঠেছে—আইসিসি কি ভারতকে কোনো শাস্তি দেবে?
১২৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দল মাত্র ১৫.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয়। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ছক্কা মেরে খেলা শেষ করার পরই ভারতীয় খেলোয়াড়রা সোজা প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা তখন হাত মেলানোর জন্য মাঠে অপেক্ষা করছিল, কিন্তু তাদের এই অপেক্ষার কোনো মূল্য দেওয়া হয়নি। কোনো সৌজন্যতা বিনিময় ছাড়াই ভারতীয় দল মাঠ ছাড়ে।
পাকিস্তানের খেলোয়াড়, কোচ এবং সাবেক ক্রিকেটাররা ভারতের এই আচরণকে ‘অখেলোয়াড়সুলভ’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
পাকিস্তানের প্রধান কোচ মাইক হেসন এই ঘটনাকে ‘খুব হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন, আর শোয়েব আখতারের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা অভিযোগ তুলেছেন যে ক্রিকেটে রাজনীতি টেনে আনা হয়েছে।
আইসিসি কি কোনো ব্যবস্থা নেবে?
আইসিসি'র নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের হাত মেলানো বাধ্যতামূলক নয়। এটিকে নিছক একটি সৌজন্যমূলক প্রথা হিসেবেই দেখা হয়। আইসিসি'র আচরণবিধিতে কোথাও পরিষ্কারভাবে লেখা নেই যে ইচ্ছাকৃতভাবে হাত না মেলালে কোনো শাস্তি দেওয়া হবে।
আচরণবিধির মূল অংশে বলা আছে, খেলোয়াড়দের প্রতিপক্ষ, সতীর্থ, আম্পায়ার এবং ম্যাচ কর্মকর্তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।
এই ঘটনার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে, আইনগতভাবে ভারতের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আইসিসি'র নেই বললেই চলে।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বড়জোর একটি মৃদু তিরস্কার করতে পারে। কারণ ভারতীয় জয় শাহ আইসিসি'র চেয়ারম্যান পদে থাকায় সেই সম্ভাবনাও খুবই কম।